
ইতিহাস যখন জীবন্ত, অতীত যখন অবিচ্ছেদ্যভাবে মিশে আছে আমাদের বর্তমানে। মা মনসার মূর্তিমণ্ডলে চার সহচর অবশ্যই দুই সহস্র বছর আগেকার গঙ্গারিডাই/গঙ্গাল সভ্যতার মাতৃমূর্তির উত্তরাধিকার বহন করেন। এই চারজনের মধ্যে দুজন উপরে উড়ন্ত বিদ্যাধর, এটি পালযুগের মাতৃমূর্তির মণ্ডলবৈশিষ্ট্য।
হুগলি জেলায় মনসা পুজোর ছবি। আপনি কলকাতায় বসে বুঝতে পারবেন না, মা মনসার শ্রাবণী পূজা অবসানে, শ্রাবণ সংক্রান্তি অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার এই সমাপ্তি লগ্ন কি সুবিপুলভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাঢ় বঙ্গে।
পালযুগে আজ থেকে বারোশো-হাজার বছর আগে সমস্ত মাতৃমূর্তির মধ্যে সবথেকে বেশি সংখ্যায় দেখা যায় মনসা মূর্তি। মা মনসার মূর্তি দুই হাজার বছর আগেও গঙ্গারিডাই সভ্যতায় পাওয়া গেছে, এবং সাড়ে চার হাজার বছর আগে হরপ্পা সভ্যতাতেও সর্পমাতৃকা পূজিত হতেন।
মা মনসার উপাসনা আমাদের প্রাচীন ও আবহমান ঐতিহ্য, আমাদের জাতির শেকড়, আমাদের তন্ত্রধর্মর নির্যাস সর্পমাতৃকার কুণ্ডলিনী প্রতীকে প্রকাশিত হয়। এই আমাদের মাতৃধর্ম, এই ধর্মই আমাদের ধারণ করে।
জয় জয় মা, তোমারই প্রতিমা গড়ি মন্দিরে মন্দিরে।
★ তমাল দাশগুপ্ত
তমাল দাশগুপ্ত ফেসবুক পেজ, আঠেরো আগস্ট দুহাজার বাইশ