আলেরকোমভীরাবর্ণ একটি প্রাচীন পদ। মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম অঞ্চলের চণ্ডীদেবীর আরাধক দেয়াসিনী মাঘ মাসের মাকরী সপ্তমীর অনুষ্ঠানে এই পদ গেয়ে থাকেন। এই পদের শেষের অংশগুলিই আবার গাজনের সময় শিবের ভক্তেরা গান। ঐতিহাসিক যমুনাপ্রসাদ জ্যোতির্বিজ্ঞানের গণনার মাধ্যমে এই পদের তিথি বিশ্লেষণ করে প্রমাণ করেছেন এই পদ ৬৩৮ খ্রীষ্টাব্দে শশাঙ্কের অন্তিম রাজ্যাঙ্কে রচিত। এই পদে সন্ধ্যাভাষার প্রয়োগ লক্ষণীয়। হেঁয়ালিপূর্ণ ভাষায় গূঢ় সাধনতত্ত্ব ব্যাখ্যাত হয়েছে এই পদে। আবার এই পদের মুখ্য প্রতিপাদ্য হল তৎকালীন প্রচলিত মতগুলির মধ্যে শৈবতন্ত্রের উৎকর্ষ নিরূপণ। সমগ্র পদের কিছু পংক্তির বিশ্লেষণের এই ক্ষুদ্র প্রয়াসে তৎকালীন শৈবমতের ভাব এবং রচনাকালীন সময়ের একটি খণ্ডচিত্র নির্মাণের প্রচেষ্টা করা হয়েছে।
পদের একটি অংশে আছে:
এসে গেলাম উত্তর দুয়ার
উত্তর দুয়ারে হিমালয় প্রহরী
ও হিমালয় ছাড়ো দুয়ার
ঠাকুর দেখি ফুলের কেদার
ঠাকুর দেখতে না পেলাম
আমার শক্তি নয় ভাই
এসে গেলাম পশ্চিম দুয়ার
পশ্চিম দুয়ারে চন্দ্রমণ্ডল প্রহরী
ও চন্দ্রমণ্ডল……
এসে গেলাম দক্ষিণ দুয়ার
দক্ষিণ দুয়ারে হনুমান প্রহরী
ও হনুমান …….
এসে গেলাম পূর্ব দুয়ার
পূর্ব দুয়ারে সূর্যমণ্ডল প্রহরী
ও সূর্যমণ্ডল ……
চার দুয়ার বেড়ালাম
দুয়ারে ভাই প্রহরী
কপাট খুচায় হুড়ুম তুড়ুমে
ঠাকুর দেখি সুড়ুম তুড়ুমে
সুড়ুম তুড়ুম না নিদের খোর
পাঁচ ব্রাহ্মণ চাহে কোল
পাঁচ ব্রাহ্মণ তরুণ দ্বয়
তরুণ দুটি রথে যায়
রথে যায় না নড়ে রঙ্গা
চার দুয়ার সম্ভবত চারটি সাধনমার্গের প্রতীক। এই প্রসঙ্গে তুলনীয় শূন্যপুরাণের চার দ্বারপালের বর্ণনা। নিরঞ্জন শূন্যরূপী ধর্মের চার দ্বারপাল হলেন চার পণ্ডিত। শ্বেতাই নীলাই কাঁসাই ও রামাই। বিভিন্ন সময়ে শূন্যবন্দনার চির মতের প্রবর্তক এই চার পণ্ডিত। সেইরকম ভাবে এখানে হিমালয় চন্দ্রমণ্ডল হনুমান ও সূর্যমণ্ডল সম্ভবত তীর্থিক তীর্থঙ্কর শ্রমণ ও আজীবক মতের প্রতীক। শৈব সাধক যেন বলতে চান উপরিউক্ত কোনো মতেই তিনি আনন্দময়ের স্বরূপ দেখতে পান নি। যাঁরা ঐ পথে সাধনা করেন তাঁদের প্রণাম করে তিনি জানিয়েছেন ঐ দুরূহ পথ তাঁর জন্য নয়। তিনি সহজ তন্ত্রমার্গেই ভোলানাথের উপাসনা করবেন।
আবার সাধনতত্ত্বে চার দুয়ার দেহস্থ পীঠযন্ত্রের চতুর্দ্বার। তন্ত্রে যন্ত্র গঠিত হয় একটি অষ্টদল কমলের মধ্যে নিম্নগ ও ঊর্ধগ দুটি ত্রিভুজের মাধ্যমে যারা প্রকৃতি ও পুরুষের মিলনের প্রতীভূ। এই পদ্মকে ঘিরে থাকে চতুর্দ্বার সমন্বিত চতুর্ভুজাকার ক্ষেত্র। এই চতুর্দ্বারকে সহজযান বলেছে চারিচন্দ্র। পাঁচ ব্রাহ্মণ সম্ভবত পঞ্চ ধ্যানীবুদ্ধ। তরুণদ্বয় ঈড়া ও পিঙ্গলাপথে প্রবাহিত প্রাণশক্তি। সমস্ত প্রচলিত মতের খণ্ডন করে দেহতত্ত্বের তন্ত্রাশ্রিত পথে শিবরূপী আনন্দের সাধনাই এখানে মূল উপজীব্য।
উপ গোঁসাই প্রভাত হয়ে
পরের লেখা নাদ লেখিয়ে
সোনার ঘাটে পা ভাড়িয়ে
রূপার ঘাটে পা ফেলিয়ে
সাষ্যি হইয়ো নিলাম বোর
আজ আমাদের এক প্রহর
এ প্রহর আমরা শিবকে দিয়ে
যে বর মাগি সে বর পেয়ে
মনের বাঞ্ছা পূর্ণ হয়
মহাদেব মহাদেব মহাদেব
পরের লেখা নাদ অর্থাত্ গুরুপ্রদত্ত নাদবীজ। তার সাধনা করতে হবে সোনার ঘাটে আর রূপার ঘাটে পা রেখে। সোনার ঘাট শূন্যতত্ত্বের প্রতীক। রূপার খাট রূপাদি জাগতিক ভাবের প্রতীক যা মহাযানে রূপ বেদনা সংজ্ঞা সংস্কার বিজ্ঞানাদি পঞ্চস্কন্ধ নামে ব্যাখ্যাত হয়েছে। তুলনীয়:
সোনে ভরিতি করুণা নাবি
রাখবি রূপা ঠাঁই না হোবি
রূপকথার গল্পে ঘুমন্ত রাজকন্যার সোনার কাঠি রূপার কাঠিও একই তাৎপর্য বহন করে।
এই শূন্য ও রূপতত্ত্বের সাধনা করে যে বিশেষ মুহূর্তে তত্ত্বজ্ঞান জাগ্রত হয় সেটাই শিবের এক প্রহর। বেশ বোঝা যাচ্ছে এই শৈবতন্ত্রে মহাযানের উৎকৃষ্ট তত্ত্বজ্ঞান অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।
গানটির শেষের পংক্তিগুলির মর্মার্থ এইরূপ:
বোল শিব মহাদেবের গান
হাতে কর গোঁসাই ত্রিশূল বাণ
অর্থাত্ মহাদেবের নাম করে জ্ঞান অস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত হও সাধনমার্গের অন্তিম চরণে প্রবেশের জন্য। প্রসঙ্গত সাধনতত্ত্বে ত্রিশূল জ্ঞানের রূপকার্থে ব্যবহৃত হয়। জ্ঞান জ্ঞাতা জ্ঞেয় ; জ্ঞানমার্গের এই ত্রিমুখী ভাবের প্রকাশই ত্রিশূল। তাই মহাজ্ঞানরূপী মহাদেবকে ত্রিশূলপাণি রূপে ভাবনা করা হয়। অদ্যাবধি গাজনের শেষ মুহূর্তে ভক্তগণ লোহার ত্রিশূল শরীরে বিদ্ধ করে নৃত্য করেন। এই প্রথা বাস্তবে জ্ঞানের আয়ুধ দিয়ে মোহনাশের প্রতীকী।
তারপর বলা হয়েছে:
সোনার ঝিঞ্ঝিরী নিয়ে পালান
বসুয়ার পৃষ্ঠে দেওনি বাণ
এই পদটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় কুক্কুরীপাদের অনবদ্য একটি চর্যাপদ। যেখানে পদকর্তা বলছেন:
কানেট চৌরি নিল অধরাতি …
কানেট চোরে নিল কা গই মাগঅ
অর্থাত্ চোরে কানের অলঙ্কার অর্ধরাত্রে চুরি করে নিয়ে গেছে। কোন্ মার্গে গেছে কেউ জানে না। এর গূঢ় ব্যাখ্যা হল : সহজানন্দ রূপী চোর প্রকৃতিদোষ রূপী কর্ণালঙ্কার চুরি করেছে। সোনার ঝিঞ্ঝিরি সম্ভবত একই তাৎপর্য বহন করে। বসুয়ার পৃষ্ঠে দেওনি বাণ অর্থাত্ বৃষভারূঢ় শক্তিকর্তৃক আশ্লিষ্ট বাণরূপী মহাদেব সাধকের শূন্যতত্ত্বজ্ঞান হরণ করেছেন। তন্ত্রে বাণ হলেন মহাদেবের সশক্তি যুগনদ্ধরূপ।
প্রমত্তং শক্তিসংযুক্তং বাণাখ্যঞ্চ মহেশ্বরম্
কামবামান্বিতম্ দেবম্ সংসারদহনক্ষমম্
শৃঙ্গারাদিরসোল্লসাম্ বাণাখ্যম্ পরমেশ্বরম্।
লক্ষণীয় বিষয় হল এখানে পরোক্ষভাবে শৈবতন্ত্রের মধ্যে মহাযানমতের মিশে যাওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। মহাযানের শূন্য যে পরমানন্দের সন্ধান দিতে পারে না তার সন্ধান দিতে পারে শিবশক্তির যুগলবিগ্রহ। দীনেশ চন্দ্র সেন বিস্তারিত আলোচনায় দেখিয়েছেন এই যুগলরূপের পরমানন্দভাবই বৌদ্ধ নির্বিকার শ্রামণ্যের ভাবে প্রভাবিত গৌড়বঙ্গবাসীর চিত্তে জয়লাভ করেছিল।
এরপর পদটিতে বলছে:
অনাতির বর্ণ গোঁসাই অনাতির বর্ণ
দেব বর্ণ দেয়াসিন বর্ণ
সংস্কৃত অজ্ঞাত শব্দ থেকে অনাতি শব্দটি এসেছে। যথা: অজ্ঞাত>অণ্ণাত>অনাত>অনাতি।
অনাতির বর্ণ বলতে বোঝানো হয়েছে: পদকর্তা এইবার দেহতত্ত্বের অজ্ঞাতরহস্য বর্ণনা করবেন। দেব বর্ণ দেয়াসিন বর্ণ অর্থাত্ দেহস্থ পুরুষতত্ত্ব ও প্রকৃতিতত্ত্বের বর্ণনা। এই পদ একান্তভাবেই সাঙ্খ্যমত থেকে উৎসারিত।
আট, পাট লাঠি বর্ণ
আলের কোম ভীরা বর্ণ
আর বর্ণ সরস্বতীর গান
অত্যন্ত দুরূহ এই পদের ব্যাখ্যা সম্ভবত এইরূপ:
সহজানন্দরূপ অষ্টদল কমলের আটটি দল পাটলাঠির বর্ণ অর্থাত্ শুভ্রবর্ণ। এই অষ্টদল অষ্টতত্ত্বাত্মিকা প্রকৃতির দ্যোতক। আলের অর্থাত্ কমলের আলম্বের বর্ণ কোম্ভীরার ন্যায়। কোম্ভীরা যদি কুম্ভীর হয় তাহলে এর অর্থ হল কুম্ভকক্রিয়ায় শ্বাসের গতিরোধ করেই এই সহজানন্দরূপী কমল দৃষ্ট হয়। কুম্ভকের রূপকে কুম্ভীরের একইরকম প্রয়োগ আমরা পাই কুক্কুরীপাদের চর্যায়:
দুলি দুহি পীঠা ধরণ না যাঅ
রুখের তেন্তলি কুম্ভীরে খাঅ
আর সহজানন্দ প্রেমরূপ কমলের অপরূপ বর্ণনা তো চণ্ডীদাস করেই গেছেন তাঁর মাধুর্যমণ্ডিত পদে:
পিরীতি বলিয়া একটি কমল
রসের সায়র মাঝে
প্রেমপরিমলে লুবধ ভ্রমর
ধাওল আপন কাজে।
আর বর্ণ সরস্বতীর গান। বঙ্গে সরস্বতী তন্ত্রারাধ্যা
ভদ্রকালী রূপিণী। তাঁর গান অর্থাত্ প্রণবনাদ। সেই নাদবীজের একাক্ষরী বর্ণই এখানে রূপকের দ্বারা বর্ণিত হয়েছে।
ডাইনে চন্দ্র বর্ণ বাঁয়ে বর্ণ হনুমান
শীতলার বর্ণ গোঁসাই যায় জল্লীবাণ
একে বলরে ভাই পূর্ণস্থান।
চন্দ্র শ্বেতশুভ্রবর্ণ। তন্ত্রে হনুমান রজগুণাত্মক। তাই রক্তবর্ণ। অর্থাত্ সেই অষ্টদল কমলে দক্ষিণে শ্বেতবর্ণ আর বামে লোহিতবর্ণ প্রকাশিত। তন্ত্রে ও বজ্রযানে শ্বেত ও রক্তবর্ণের এই সমন্বয় পুরুষ ও প্রকৃতিতত্ত্বের মহামিলনের প্রতীক। পুরুষকে দক্ষিণ বা দক্ষিণামূর্তি এবং প্রকৃতিকে বামা বলা হয়। এই মহামিলনেই মহাসুখ সহজানন্দের প্রাপ্তি ঘটে। অদ্যাবধি বজ্রযানে মহাসুখের প্রতীক রূপে মণ্ডলের কেন্দ্রস্থলে শ্বেত ও লোহিত বর্ণের দুটি অর্ধচন্দ্র আঁকা হয়।
শীতলার বর্ণ অর্থাত্ শ্যামবর্ণ। এই শ্যামবর্ণ অসীম শূন্যের দ্যোতক। মহাসুখের মাধ্যমে বোধিচিত্তে শূন্যতত্ত্বের বোধ জাগ্রত হয়। কিন্তু শৈবতন্ত্র শুধু শূন্যতত্ত্বের জাগরণেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং শূন্যতত্ত্বকে বাণের অর্থাত্ যুগনদ্ধরূপের পরমানন্দসাগরে নিমজ্জিতও হতে হয় এই সাধনমার্গে। তাই শ্যামবর্ণ শূন্যজ্ঞান জলধিতে নিমগ্ন। সাঙ্খ্যের দুঃখবাদ থেকে উৎসারিত উচ্ছৃতি বা মোক্ষাভিলাষ যেন প্রকৃতিরূপিণীর মহাসুখসাগরে পুনরায় নিমজ্জিত। এই হল পঞ্চম পুরুষার্থ প্রেমের বীজ যা বহুপরে মহাপ্রভুর গৌড়ীয়ভাবে মূর্ত হয়ে উঠেছিল। সমাধিমার্গে নির্বাণপথিক অবলোকিতেশ্বরের পুনরায় সংসারোদ্ধারে পুনরাবর্তনও একই তাৎপর্য বহন করে।
আবার ঐতিহাসিক দৃষ্টিতে এই পংক্তিগুলির এক অন্যতম তাৎপর্য বর্ণনা করেছেন পদ সংগ্রাহক যমুনাপ্রসাদ মহাশয়। তিনি বলেছেন চন্দ্রবর্ণ ইসলামের প্রতীক। হনুমানবর্ণ জৈনের এবং শীতলাবর্ণ বৌদ্ধতন্ত্রের প্রতীক। অর্থাত্ সর্বধর্ম ছেড়ে ভক্তেরা শৈবমতে শিবের চরণে আত্মনিবেদন করলেন।
এর পরে দেশবাসী দেবগণের বন্দনা করতে হয়। এর উদ্দেশ্য হল: যে অনুপম শৈবতন্ত্রের চর্যা এতক্ষণ সাধক করলেন সেই ভাব দেশের সমস্ত পীঠস্থানে প্রচারিত করে সমগ্র ভূখণ্ডে এই লোকায়ত দর্শনের একটি শৃঙ্খলা নির্মাণ। এই উদার মত সর্বজনবিদিত হলেই গৌড়বঙ্গের প্রাণশক্তি চিরজাগ্রত থাকবে।
পদটির সামগ্রিক আলোচনা করে এই সিদ্ধান্তে আসা খুব অমূলক নয় যে বৌদ্ধতন্ত্রের সহজযানের মতোই শৈবতন্ত্রেও চর্যাপদ ছিল। অন্ততঃ ভাবগত ও সন্ধ্যাভাষার প্রয়োগগত মিলের ওপর ভিত্তি করে এই পদটিকে তো নির্ভয়ে চর্যাপদের শ্রেণীভুক্ত করা যায়। এখানে আরো একটি তথ্য উঠে আসে। এই পদে আলোচিত শৈবতন্ত্র যাকে যমুনাপ্রসাদ মহাশয় কালগণনার মাধ্যমে শশাঙ্কের সময়কালে রচিত বলে প্রমাণ করেছেন তার প্রসার যদি শশাঙ্কের বদান্যতায় হয়ে থাকে তাহলে তৎকালীন উদার লোকায়ত শৈবতন্ত্র যেভাবে মহাযানমতকে নিজের মধ্যে আত্তীকৃত করেছিল সেটা নিশ্চয়ই বৌদ্ধগণের পক্ষে খুব প্রীতিজনক ছিল না। দীনেশ সেনের ভাষায় বাঙালির হৃদয়ের সিংহাসন থেকে বুদ্ধকে অপসারিত করে বুড়ো শিব আবার সেই সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন। হয়তো এর ফলেই বৌদ্ধগণ শশাঙ্কবিদ্বেষী হয়ে তাঁর বিরুদ্ধাচরণ করেছিলেন এবং তাঁর প্রবল শত্রু বৌদ্ধধর্মের পৃষ্ঠপোষক হর্ষবর্ধনের পক্ষাবলম্বন করেছিলেন। হয়তো শশাঙ্কের বুদ্ধগয়া আক্রমণ এবং হিউয়েন সাঙের শশাঙ্কবিদ্বেষের মূল এই শৈবতন্ত্রের উত্থানের সাথেই জড়িত। গাজনের গানে ছায়ারূপে সেই শৈবতন্ত্রই গৌড়বঙ্গের অন্তরে আজও বিরাজমান।