ওই যে একটি ধর্মীয় সংগঠন আছে, ত্রিবেণীর কুম্ভমেলা আর পার্ক স্ট্রিটের ময়দানে অভিনব ধর্ম ঠাকুর, ওদের কেউ গিয়ে বলে আসুন, ধর্ম ঠাকুর আজও প্রতিষ্ঠিত আছেন ধর্মতলায়, তবে ওদের গোবলয় প্যাটার্নে ওরকম একক পুরুষ দেবতার পুজো বাংলায় অনাসৃষ্টি কাণ্ড, সেজন্য মা শীতলার পার্শ্বচর রূপে আশ্রিত ধর্মঠাকুর পূজিত হন এস এন ব্যানার্জি রোডের শীতলা মন্দিরে, আজও।
হ্যাঁ, প্রবল প্রতিপত্তিশালী এই গেরুয়া সংগঠন, ওদের কাছে রাকৃমি আছে, ভাসেস আছে, সঙ্ঘ পরিবার তো আছেই। নরেন্দ্র মোদির মন কি বাতও আছে। কিন্তু এখানকার ইতিহাসটা তো ওদের কাছে নেই।
ওরা ইসলামিক বলয়ের মতোই পুরুষতান্ত্রিক। ওরা মা কালীর জয়ধ্বনি করতে শেখেনি, ওরা তন্ত্রের প্রাধান্য স্বীকার করে না, ওরা আবার ইসলামের আগ্রাসনের সঙ্গে কি ভাবে লড়বে? ওরা তো নিজেরাই তন্ত্রের বিরুদ্ধে, মাতৃধর্মের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালাচ্ছে, এইসব নতুন নতুন ইনভেন্টেড ট্র্যাডিশন বানিয়ে।
বাঙালির ইতিহাসের সত্যিটা কিভাবে চেপে দেবে আবাপ এবং অন্যান্য দালাল প্রিন্ট মিডিয়া? স্রেফ আমাকে ব্ল্যাকলিস্ট করে? আমার এই এক ফেসবুক পেজ তো গত এক মাসে প্রায় পাঁচ লক্ষ বাঙালির কাছে পৌঁছে গেছে।

তমাল দাশগুপ্ত ফেসবুক পেজ, ছয় মে দুহাজার তেইশ।