
অক্ষয় তৃতীয়া মা ধূমাবতীর প্রকাশ তিথি।
মুণ্ডক উপনিষদে বৈদিক সাহিত্যে প্রথম মা কালীর উল্লেখ আছে যে শ্লোকে, সেখানে সুধূম্রবর্ণা নামটি পাওয়া যায় অগ্নির সপ্ত জিহ্বার মধ্যে।
মহাভারতে শল্য পর্বে যে দীর্ঘ তালিকা আছে সমকালীন ভারতে জনপ্রিয় মাতৃকাদের, সেখানেও মা ধূমাবতীর ন্যায় মাতৃকার নামোল্লেখ পাই।
মৎস্য পুরাণে ৬৯০ জন মাতৃকার দীর্ঘ তালিকায় ধূম্রা এবং ধূমশিখা আছেন।
মা ধূমাবতী বৃদ্ধা এবং বিধবা রূপে একক জগন্মাতার একটি নির্দিষ্ট রূপ প্রকাশ করেন। তিনি দশমহাবিদ্যার অন্যতম।
তিনি কালীরূপ আগুনের ধোঁয়া। তিনি বৃদ্ধা কারণ তিনি সুপ্রাচীন, তিনি সৃষ্টির শুরু থেকে আছেন। তিনি শিবকে গলাধঃকরণ করেন এজন্য কোনও পতির দ্বারা শাসিত হন না। তিনি একক জগদকারণ, তিনিই জগদবিলয়।
একটি কাক তাঁর বাহন। খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকের পালি গ্রন্থ নিদ্দেস অনুযায়ী সমকালীন ভারতে কাকের উপাসনা প্ৰচলিত ছিল। কাক সর্বত্রব্যাপী বলে, বুদ্ধিমান বলে এবং নিরহংকারী বলে তন্ত্রসাধনায় বিশেষ স্থান অধিকার করে, সেই সঙ্গে কালো রঙের গুরুত্ব তো আছেই, সর্বোপরি প্রাচীন বলাকা মাতৃকার সঙ্গে কাকের সংযোগও আছে। মা ধূমার মণ্ডলে কাকের উপস্থিতি কাজেই তাৎপর্যপূর্ণ।
অক্ষয় তৃতীয়া তাঁর প্রকাশ তিথি: মা ধূমাবতীর জয় হোক। জয় জয় মা।
© কালীক্ষেত্র আন্দোলন
মায়ের ছবি ফেসবুক থেকে।
কালীক্ষেত্র আন্দোলন ফেসবুক পেজ, বাইশ এপ্রিল দুহাজার তেইশ