
একশোয় বিরানব্বই! তবে, মায়ের আশীর্বাদে কি না হয়।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তন্ত্র কোর্স শেষ করলাম। আমার টার্ম পেপার বা সন্দর্ভ প্রবন্ধটির বিষয় ছিল আর্যাবর্ত গ্রন্থের মাতৃকা দূষণ। জেনে খুশি হবেন সেই সন্দর্ভের জন্য আমি একশোয় বিরানব্বই পেয়েছি। পাশে থাকার জন্য পেজের পাঠকদের অনেক ধন্যবাদ। হ্যাঁ, আমরা একুশ শতকের বাঙালিদের জন্য তন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনা করব, তার প্রথম ভিত্তি আমরা স্থাপনা করেছি, বিদেশে তন্ত্র এবং মাতৃধর্ম চর্চার শ্রেষ্ঠতম বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স নিজে করে জেনে নিয়েছি তাঁদের মেথডলজি, যেভাবে বাঙালি নৈয়ায়িকরা একদা মিথিলা থেকে জ্ঞানচর্চার নানা দিক জেনে এসেছিলেন। এবার পয়লা বৈশাখে আমরা নিজেরা তন্ত্র কোর্স চালু করব। সঙ্গে থাকুন।
তবে একমাত্র যাঁরা সেই সময় (অর্থাৎ জানুয়ারি মাসে) একশ টাকা পাঠিয়েছিলেন তাঁদের নিয়েই বিনামূল্যে প্রথম তন্ত্র কোর্সটি হবে। আমি আগেই বলেছি, এই একশ টাকা যাঁরা পাঠিয়েছিলেন (কয়েকজন বেশিই পাঠিয়েছেন), এঁরা সবাই এই যুগের ধর্মপাল, এই যুগের বিক্রমশীলা স্থাপনার উদ্যোগে এঁদের এই অ-সামান্য অবদান ইতিহাসে লেখা থাকবে।
পেজের বাকি পাঠকরা দ্বিতীয় তন্ত্র কোর্স থেকে এনরোল করার সুযোগ পাবেন, বিস্তারিত তথ্য পেজে জানানো হবে।
বাঙালি অত্যন্ত বিভ্রান্ত হয়ে বেঁচে আছে। বাঙালিত্বের তন্ত্রধর্মীয় মাতৃকা উপাসনার শেকড়ে ফেরানো না গেলে এ জাতি নিশ্চিত ধ্বংস হবে। আসুন, আমার সঙ্গে আসুন, সবাই মায়ের জয়ধ্বনি করি। কারণ, যার কেউ নেই, তার মা কালী আছেন।
তমাল দাশগুপ্ত Tamal Dasgupta
জয় মা কালী। জয় জয় জয় মা কালী।
মায়ের ছবি পিন্টারেস্ট থেকে।
তমাল দাশগুপ্ত ফেসবুক পেজ, চব্বিশ মার্চ দুহাজার তেইশ