
রক্ষাকালী।
বিশ্বসারতন্ত্রে রক্ষাকালী মন্ত্র পাওয়া যায় যা তন্ত্রসারে উদ্ধৃত করেছেন আগমবাগীশ।
চতুর্ভুজা কৃষ্ণবর্ণা মুণ্ডমালাবিভূষিতা।
খড়্গঞ্চ দক্ষিণে পাণৌ বিভ্রতীন্দীবরদ্বয়ং।
কর্ত্রীঞ্চ খর্পরঞ্চৈব ক্রমাদ্বামেন বিভ্রতী।
দ্যাং লিখন্তীং জটামেকাং বিভ্রতীং শিরসা দ্বয়ীং।
মুণ্ডমালাধরা শীর্ষে গ্রীবায়ামথ চাপরাং।
বক্ষসা নাগহারঞ্চ বিভ্রতী রক্তলোচনা।
কৃষ্ণবস্ত্রধরা কট্যাং ব্যাঘ্রাজিনসমন্বিতা।
বামপাদং শবহৃদি সংস্থাপ্য দক্ষিণং পদং।
বিলাপ্য সিংহপৃষ্ঠে তু লেলিহানাসবং স্বয়ং।
সাট্টাহাসা মহাঘোররাবযুক্তা সুভীষণা।
★ মা রক্ষাকালী চতুর্ভুজা, কৃষ্ণবর্ণা, মুণ্ডমালাবিভূষিতা।
★ মায়ের ডান হাতে খড়্গ ও নীল পদ্ম, এবং বাম হাতে কর্ত্রী ও খর্পর।
★ মায়ের মাথায় গগনস্পর্শী জটা।
★ মায়ের মাথায় এবং গলায় মুণ্ডমালার অলঙ্কার। মায়ের বক্ষে নাগহার।
★ মা রক্ষাকালীর চক্ষু রক্তবর্ণ। কটিদেশে কৃষ্ণবস্ত্র এবং ব্যাঘ্রচর্ম।
★ মায়ের বাম পা শবের বুকের ওপর, ডান পা সিংহের পিঠে স্থিত।
★ মা রক্ষাকালী লেলিহান রূপে প্রকাশিত, তিনি অট্টহাস্য করেন, মহা ঘোর শব্দ করেন এবং তিনি সুভীষণা।
বিশ্বসারতন্ত্রের এই মন্ত্রেই বাংলায় রক্ষাকালী পূজিত হন যদিও এই মন্ত্রে সরাসরি রক্ষাকালীর উল্লেখ নেই। প্রসঙ্গত পালযুগে পঞ্চরক্ষিকা মায়ের পুজো হত, যিনি শরণাগত সন্তানকে সমস্ত আপদ বিপদ থেকে রক্ষা করতেন। এবং রক্ষাকর্ত্রী হিসেবে উপাস্য মায়ের পুজো তন্ত্রধর্মে অত্যন্ত প্রাচীন প্রথা। একাধিক বিখ্যাত রক্ষাকালী আছেন বাংলায়, যেমন বোল্লা কালী।
© তমাল দাশগুপ্ত Tamal Dasgupta
জয় মা রক্ষাকালী। জয় জয় মা।
মায়ের ছবি পিন্টারেস্ট থেকে।
তমাল দাশগুপ্ত ফেসবুক পেজ, আঠাশ ফেব্রুয়ারি দুহাজার তেইশ
সংযোজন
পঞ্চরক্ষা বা পঞ্চরক্ষিকা: পালযুগের বাঙালির রক্ষাকর্ত্রী