
চণ্ডী কালী অভিন্নতা।
★ মহাভারতে দেবীকে বলিপ্রিয়া বলা হয়েছে দুর্গাস্তবে। নিঃসন্দেহে দুর্গা বলিপ্রিয়া। কিন্তু সন্ধিপুজোয় বলি গ্রহণ করতে যে কোনও চণ্ডীমণ্ডপে স্বয়ং চামুণ্ডা কালীর আবির্ভাব হয়। এবং বলিপ্রিয়া শব্দে আজ আমরা সবাই মা কালীরই বৈশিষ্ট্য বুঝি।
★ স্কন্দপুরাণে উৎকলখণ্ডে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন যে চণ্ডী মূর্তি দর্শন করেছিলেন তিনি মুণ্ডমালিনী।
★ চণ্ডীর অষ্টশক্তির অন্যতম উগ্রচণ্ডা। ইনি অষ্টাদশভুজা এবং এঁর গলায় মুণ্ডমালা।
★ বাশুলী বা বিশালাক্ষী ধ্যানমন্ত্র যা ধর্মপূজাবিধানে পাই, সেখানে বাশুলীকে চণ্ডিকা এবং মঙ্গলচণ্ডিকা আখ্যা দেওয়া হয়েছে, যাঁকে কালীর সঙ্গে অভিন্ন, এবং মুণ্ডমালিনী বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
★ দেবী ভাণ্ডালী বা বনদুর্গার ধ্যানমন্ত্রে তাঁকেও মুণ্ডমালিনী বলা হয়েছে। দেবী বনদুর্গা মেঘবর্ণা, ভয়ঙ্কর দন্তবিশিষ্টা।
★ বাংলা জুড়ে এমন বেশ কিছু চণ্ডী মন্দির আছে যেখানে অধিষ্ঠাত্রী মা একাধারে চণ্ডী ও কালী আখ্যা পান। গৌড়ের অধিষ্ঠাত্রী মালদার জহুরা চণ্ডী দ্রষ্টব্য, তিনি জহুরা কালী নামেও জনপ্রিয়।
★দেবী মাহাত্ম্য বা শ্রী শ্রী চণ্ডী অনুযায়ী চণ্ডী শুম্ভ ও নিশুম্ভ বধ করেছিলেন, এজন্য তাঁর আরেক নাম শুম্ভনিশুম্ভনিসূদিনী। দক্ষিণ ভারতে রাজেন্দ্র চোল তাঁর একটি অনুশাসনে এক প্রাচীন নিশুম্ভ নিসূদিনী মন্দিরের উল্লেখ করেন (এই মন্দিরটি তাঞ্জরে নাকি ৪৫০ খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত হয়েছিল রাজা বিজয়ালয় কর্তৃক, এই অনুশাসনে বলা হয়েছে, যেখানকার মাতৃমূর্তি রাজেন্দ্র চোলের সময়েও বিদ্যমান)। এই দেবী নিঃসন্দেহে চণ্ডী, কিন্তু ইনিও মুণ্ডমালিনী। এঁর মাথায় জটা, ইনি চতুর্ভুজা, শূল দ্বারা অসুরকে বিদ্ধ করেন, এবং উপবীতের মত ইনি মুণ্ডমালা ধারণ করেন। এছাড়া ইনি সর্পের কাঁচুলি পরিহিতা।
মা কালী সর্বময়ী। সমস্ত দেবীমূর্তির ধ্যানে মা কালীরই প্রকাশ ঘটে।
© তমাল দাশগুপ্ত Tamal Dasgupta
কাটোয়া অঞ্চলের জনপ্রিয় খেপি মায়ের ছবি ইন্টারনেট থেকে।
জয় মা, তোমারই প্রতিমা গড়ি মন্দিরে মন্দিরে। জয় মা চণ্ডী। জয় মা কালী। জয় জয় মা।
তমাল দাশগুপ্ত ফেসবুক পেজ, চব্বিশ ফেব্রুয়ারি দুহাজার তেইশ