
কালী শীতলা অভিন্নতা।
বসন্তকাল আসন্ন। এই সময় বাঙালি মা শীতলার উপাসনা করে। আজকে আমরা মা কালী ও শীতলার অভিন্নতা প্রসঙ্গে জানব। আমরা জানব যে মা কালীই প্রকাশিত হন শীতলা রূপে, এই মর্মে একটি প্রাচীন নথির সাক্ষ্য আছে।
খ্রিষ্টীয় তৃতীয়-চতুর্থ শতকে রচিত মৎস্য পুরাণ গ্রন্থ সমস্ত পুরাণগুলির মধ্যে অত্যন্ত প্রাচীন স্থান অধিকার করে। এই মৎস্য পুরাণে প্রতিমা লক্ষণ অধ্যায়ে যোগেশ্বরী মূর্তি বর্ণনা আছে। যোগেশ্বরী দীর্ঘ জিহ্বা এবং উর্ধ্বকেশী। দীর্ঘ দন্ত, করাল বদন, নরমুণ্ডমালা বিশিষ্টা। এঁর বাম হাতে মাংস ও শোণিতপূর্ণ নরকপাল। ডান হাতে শক্তি ধারণ করেন। দেবী ত্রিনয়না। স্পষ্টভাবে এই যোগেশ্বরী দেবী আসলে মা কালীরই প্রাচীন নাম, সন্দেহ নেই।
এরপর বলা হয়েছে, ইনি চামুণ্ডা রূপে ব্যাঘ্রচর্ম পরিধান করেন। এবং কালিকারূপে ইনিই গর্দভবাহিনী এবং দিগ্বসনা।
চমকে দেওয়ার মত এই প্রাচীন তথ্য: মা কালীই গর্দভবাহিনী হয়ে শীতলা রূপে প্রকাশিত হন।
আমরা জানি বসন্ত আদি রোগ ব্যাধির প্রতিকারে গর্দভবাহিনী শীতলা মা সমগ্র উপমহাদেশে পূজিত হন, মায়ের বাহন গাধা কারণ গাধার দুধ বসন্তের উপশমে প্রাচীন ওষধি ছিল। শীতলা আমাদের সভ্যতার অন্যতম প্রাচীন মাতৃকা।
সুপ্রাচীন যুগের যোগেশ্বরী কালীই শীতলা রূপে প্রকাশিত হন, মৎস্য পুরাণের সাক্ষ্য অনুযায়ী।
মা শীতলা সম্পর্কে আগে লিখেছি, লিংক কমেন্টে। জগন্মাতা শীতলা কালী তাঁর সন্তানদের রক্ষা করুন।
© তমাল দাশগুপ্ত Tamal Dasgupta
জয় মা শীতলা। জয় মা কালী। জয় জয় মা।
মা কালীর ছবিটি pexels ডট কম থেকে।
তমাল দাশগুপ্ত ফেসবুক পেজ, পনেরো ফেব্রুয়ারি দুহাজার তেইশ