
আমার খুব ইচ্ছে ছিল হরপ্পা সভ্যতার দুই প্রধান মাতৃকার বিভূতি দর্শন করব। ঊষাকে আকাশ থেকে দেখেছিলাম। আক্ষরিক অর্থে ঊষাকালেই। কালো রাতের মধ্যে লাল আগুন জ্বলে উঠেছিল পূর্ব দিগন্তে।
এবার ঝড়জলের মধ্যরাতে আকাশে আদিমাতা কালরাত্রি নিশাকে প্রত্যক্ষ করলাম, তারপর ভয়ানক জ্বর এলো, এখনও জ্বর আছে, শরীর দুর্বল। মা আমাকে ভেঙেচুরে নতুন করে গড়ছেন। এই কথাগুলো এমনি সময় হলে লিখতে পারতাম না, জ্বর বলে লেখা সহজ হল।
Anthropomorphic মূর্তি দেখিনি। করাল প্রলয়ঙ্করী বৃষ্টিরাতের প্রকৃতি দেখেছি আকাশ থেকে,ফ্লাইটে করে কলকাতা থেকে দিল্লি ফেরার সময়। লাল আলোয় ঝড়বৃষ্টির দাপট দেখছিলাম। মনে হচ্ছিল মা কতবার এই লীলা করেছেন, কতবার সম্পূর্ণ ধ্বংস করে আবার নতুন সৃষ্টি করেছেন। মা বলিপ্রিয়া রুধিরপ্রিয়া!
হরপ্পা সভ্যতায় এমন মাতৃমূর্তি অনেক পাওয়া গেছে, যাঁকে আদি কালী বলা যায়, আমি বলি, আরও কয়েকজন গবেষক বলেন। এঁর মুখমণ্ডল করোটির ন্যায়। একটি ছবি রইল। সময়কাল পাঁচ হাজার বছর আগেকার।
ইতিহাস বিভাগগুলো পচে গেছে। মূলধারার প্রতিষ্ঠান হোক বা লিটল ম্যাগাজিন বা ফেসবুকে ইতিহাসচর্চা, এরা জঘন্য রকমের শেকড়বিচ্ছিন্ন দালাল অধ্যুষিত স্রোতের শ্যাওলা হয়ে গেছে। আমি সেই আদি মায়ের ডাক শুনেছি, তিনি অনেক বলি নেবেন এবার।
আমি এই পেজের পাঠকদের গ্রহণ ক্ষমতার কথা মাথায় রেখেই পোস্ট দিই। হরপ্পা, পাণ্ডু রাজার ঢিবি, চন্দ্রকেতুগড়, এই জায়গার মাতৃমূর্তিগুলির ছবি বেশি দিই না, কারণ আজকের কালী দুর্গাকে যত সহজে মানুষ উপাসনা করতে পারেন এই সুদূর অতীতের বিস্মৃত মাতৃকাদের ক্ষেত্রে সেটা সহজ নয়।
কিন্তু জ্বর নিয়েই লিখছি। অনেক কাজ সহজ হয়ে যায়, অনেক কথা সহজে বলে দেওয়া যায়।
মূর্তিটি দেখে হাসি পাচ্ছে কারও কারও? এ আবার কি উদ্ভট কালীমূর্তি? হেসে নাও, দুদিন বই তো নয়।
© তমাল দাশগুপ্ত Tamal Dasgupta
অনুরাগী বন্ধুরা আমার জ্বর নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না, শত্রুদেরও আহ্লাদের বিশেষ কোনও কারণ নেই, সমস্ত টেস্টের রিপোর্টই নর্মাল এসেছে।
তমাল দাশগুপ্ত ফেসবুক পেজ, দুই ফেব্রুয়ারি দুহাজার তেইশ