
চন্দ্রকেতুগড়, বাইশে ডিসেম্বর, দুহাজার আঠেরো। ঠিক চার বছর আগে আমার সঙ্গে আমার সহধর্মিণী ঋতুর প্রথম দেখা হয়েছিল এই দিনে। খনা মিহিরের ঢিপিতে এই ছবিটা তোলা।
পেছনের প্রাচীরটা পালযুগের নির্মাণ, যদিও এই নির্দিষ্ট প্রত্নক্ষেত্রটি আন্দাজমত দু-আড়াই হাজার বছর পুরোনো। এখানে মাটির প্রত্যেক বিন্দু অতীতের স্মৃতিকণা, এখানে ঘাসের প্রত্যেক শীর্ষ জাতিস্মর কাহিনীর রোমাঞ্চ।
এই ছিল গ্রিক ও রোমান ইতিহাসবিদদের ও সাহিত্যিকদের লেখায় প্রবল প্রশংসিত এবং ভারতীয় সংস্কৃত গ্রন্থে সম্পূর্ণ উপেক্ষিত বাঙালির গঙ্গাল সভ্যতা। এইখানে ছিল আমাদের তন্ত্রাশ্রয়ী মাতৃকা উপাসনার শেকড়।
এই ভূখণ্ড, এইখানে দেবগঙ্গা, এইখানে জগন্মাতার বোধন, এইখানে তন্ত্র চিরন্তন, এইখানে বাঙালির সাম্রাজ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠার আবাহন…
তমাল দাশগুপ্ত Tamal Dasgupta
বন্ধুরা, আপনাদের আশীর্বাদ ও শুভেচ্ছা পাথেয় করে আমাদের পথ চলা। শত্রুরা, আপনাদের ক্রমান্বয়ে বিধ্বস্ত করে আমাদের পথ চলা। মাটির সঙ্গে, শেকড়ের সঙ্গে সংলগ্ন থেকে আমাদের পথ চলা।
আমরা থামব না।
তমাল দাশগুপ্ত ফেসবুক পেজ, বাইশ ডিসেম্বর দুহাজার বাইশ