
মায়ের পুজোয় সুফল মেলে।
বাঙালির সংজ্ঞায়ন হয় মাতৃধর্মে, বাঙালি বর্তমান পৃথিবীর শেষ মাতৃকা উপাসক মহাজাতি। মাতৃধর্ম একদা পৃথিবীর সর্বত্র প্ৰচলিত থাকলেও বর্তমানে বৃহদাকারে সর্বব্যাপী চেহারায় একমাত্র বাঙালির মধ্যেই দেখা যায়। আমাদের শেকড়ে আছেন মা কালী, যদিও আমাদের সেই আবহমান শেকড় থেকে আমাদের বিচ্ছিন্ন করার সব রকমের বিজাতীয় বলয়ের প্রয়াস সর্বক্ষণ চলেছে। গাছ যেমন শেকড় থেকে আলগা হলে ভূপাতিত হয়, বাঙালিও মাতৃধর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন হলে, আত্মবিস্মৃত ও দুর্বল হয়ে শেষে বিনষ্ট হয়। অন্যদিকে শক্তিশালী শেকড় যেমন বৃক্ষকে এক মহীরূহ করে তোলে, জগন্মাতার উপাসনায় তন্নিষ্ঠ থাকলে বাঙালিও তেমনি অজেয় হয়, ইতিহাস যুগে যুগে সাক্ষী আছে।
আজ আমরা জানব মাতৃকা পূজায় কি কি ফললাভ হয়: শাক্তানন্দ তরঙ্গিণী উবাচ (পঞ্চদশ উল্লাস থেকে)।
১. একশো আটবার যে কালিকার প্রদক্ষিণ করে, সে সমস্ত কাম্য ফল লাভ করে, দেহান্তে মোক্ষ প্রাপ্ত হয়।
২. অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে দুর্গাকে নমস্কার করে যে মানব, সে অশ্বমেধ যজ্ঞের সুফল পায়।
৩. এমনকি যে ব্যক্তি শঠতা করে একবারমাত্র মা ভগবতীকে নমস্কার করে সেও সুরলোক প্রাপ্ত হয়।
৪. সমস্ত যজ্ঞ, উপবাস, তীর্থদর্শন যে ফল দেয়, দেবী সতীর সম্মুখে অর্থাৎ যে কোনও সতীপীঠে মস্তক নত করলে তার সমান ফল লাভ হয়।
৫. চণ্ডিকার সামনে দণ্ডবৎ প্রণাম করে যে ব্যক্তি, সে পরম গতি প্রাপ্ত হয়।
জয় মা কালী। জয় মা, জয় মা, জয় মা। জয় জয় মা।
© তমাল দাশগুপ্ত Tamal Dasgupta
মায়ের ছবি পিন্টারেস্ট থেকে।
তমাল দাশগুপ্ত ফেসবুক পেজ, কুড়ি ডিসেম্বর দুহাজার বাইশ