
ভদ্রকালী।
★ ১. সরস্বতীর প্রণাম মন্ত্রে ভদ্রকালীর উপাসনা হয়। ভদ্রকাল্যৈ নমো নিত্যং সরস্বত্যৈ নমো নমঃ। অর্থাৎ, সরস্বতী স্বয়ং ভদ্রকালী।
★ ২. মা দুর্গার প্রণাম মন্ত্রেও ভদ্রকালী পূজিত হন। জয়ন্তীমঙ্গলাকালী ভদ্রকালী কপালিনী। অর্থাৎ, দুর্গা স্বয়ং ভদ্রকালী।
কালিকা পুরাণ অনুযায়ী ষোড়শভুজা মহিষাসুরমর্দিনী সিংহবাহিনী হলেন ভদ্রকালী। দেবী তিনবার মহিষাসুরকে বধ করেন, তার মধ্যে একবার ভদ্রকালীরূপে তিনি মহিষাসুর বধ করেছিলেন।
★ ৩. ভদ্রকালী এবং সর্পভূষণা গুহ্যকালী অভিন্ন, তন্ত্রসারের একটি মন্ত্রে দেখা যাচ্ছে।
★ ৪. আবার কূর্মপুরাণ এবং শিব পুরাণ অনুযায়ী ভদ্রকালী অতি ভীষণ আকৃতির, তিনি দক্ষযজ্ঞ বিনাশ করেছিলেন।
★ ৫. সারদা তিলকে মা ভদ্রকালীর চতুর্ভুজ মূর্তি। টংক, নরকপাল, ডমরু, ত্রিশূল ধারণ করেন। তাঁর কেশরাশি ঊর্ধ্বে উঠে গেছে। তিনি ভীষণ ও শুভ্র দন্তা।
★ ৬. প্রপঞ্চসার তন্ত্রেও ভদ্রকালী চতুর্ভুজা, তাঁর হাতে পরশু, নরকপাল, ডমরু ও ত্রিশূল। দেবী ত্রিনয়নবিশিষ্টা ও ঘনমেঘবর্ণা।
★ ৭. তন্ত্রসারে ভদ্রকালীর আরেকটি মূর্তির বর্ণনা আছে, যেখানে তাঁর সঙ্গে চামুণ্ডা চর্চিকা বা রাকিনী/লাকিনী/রংকিনীর সাদৃশ্য। এখানে দেবী ভীষণা, জীর্ণ শীর্ণ ক্ষুধার্ত, কোটরাক্ষী, জগৎ গ্রাসে উদ্যত।
© তমাল দাশগুপ্ত Tamal Dasgupta
জয় মা ভদ্রকালী। জয় জয় মা।
মায়ের ছবি ফেসবুক থেকে।
তমাল দাশগুপ্ত ফেসবুক পেজ, চোদ্দ ডিসেম্বর দুহাজার বাইশ
সংযোজন
ভদ্রকালী সম্পর্কে আগেও লিখেছি https://www.facebook.com/2343427979014091/posts/5053707044652824/?mibextid=Nif5oz
