
মহাকালী।
আগমবাগীশ কর্তৃক সংকলিত বৃহৎ তন্ত্রসারে মহাকালী মন্ত্র পাওয়া যায়। যাঁরা এই মন্ত্র জপে ইচ্ছুক তাঁদের জন্য উদ্ধৃত করছি।
ক্রীঁ ক্রীঁ ক্রীঁ হূঁ হূঁ হ্রীঁ হ্রীঁ মহাকালি ক্রীঁ ক্রীঁ ক্রীঁ হূঁ হূঁ হ্রীঁ হ্রীঁ স্বাহা।
এই বিংশতি অক্ষরের মন্ত্রে মহাকালী পূজিত হন।
মহাকালীর বাদবাকি পূজাচার দক্ষিণকালী পুজোর মতই, সামান্য পার্থক্য এই যে মহাকালী উপাসনাকালে যাবতীয় দিকপাল, যাবতীয় লোকপাল, যাবতীয় অস্ত্র এবং কালীযন্ত্রের চতুর্দিকে পৌরাণিক পঞ্চ-উপাসক সম্প্রদায়ের বাকি চারজন দেবতা অর্থাৎ বিষ্ণু শিব সূর্য ও গণেশের পুজো করা হয়, এঁরাই আবরণ দেবতা। অর্থাৎ মহাকালী সম্পূর্ণ হিন্দুধর্মের কেন্দ্রে অধিষ্ঠান করেন।
© তমাল দাশগুপ্ত Tamal Dasgupta
জয় মহাকালী। জয় জয় মা।
মায়ের ছবি ইন্টারনেট থেকে।
তমাল দাশগুপ্ত ফেসবুক পেজ, ঊনত্রিশ নভেম্বর দুহাজার বাইশ
সংযোজন
মা ভৈঃ। নির্দ্বিধায় সানন্দে মায়ের মন্ত্র জপ করুন। সন্তান হয়ে মায়ের পুজো করবেন এতে ভয়ের কিছু নেই। যারা বীজমন্ত্র সম্পর্কে ভয় পাচ্ছেন, যদি আমার পেজের নিয়মিত অনুসরণকারী হয়ে থাকেন তো নিশ্চিতরূপে জানবেন, শত্রু ভিন্ন কারও ভয় নেই, মাতৃকা দূষণ যারা করে, তারা ছাড়া আর কারও ভয় নেই। একমাত্র তারাই এ মন্ত্র উচ্চারণে বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করবে, যারা মাতৃভাবে উপাসনা না করে শত্রুভাবে ভীতভাবে দূষিতভাবে বিকৃতভাবে মায়ের বদলে অন্য কারও কাছে এটা ওটা, ঐহিক সুখ এবং ক্ষুদ্র সিদ্ধাই চাইতে আসে।
আপনাদের গুরুর যদি বারণ থাকে মন্ত্র জপে, তবে ভিন্ন ব্যাপার, সেক্ষেত্রে করবেন না, পারলে এই পোস্টটাও দেখবেন না। যদি বারণ না থাকে, তবে চিন্তা নেই। আর যদি আমাকে গুরু মানেন, তবে বলা বাহুল্য চিন্তা নেই।
জয় জয় মা।