
বাংলার স্কুলে স্কুলে ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে পালি শেখানো উচিত। আমাদের পূর্ব ভারতীয় ব্রাত্য আর্যভাষার শেকড় বুঝতে গেলে পালি ভিন্ন গতি নেই: তারকা পোসেনজিৎ হোক বা নদী পদ্দা, দেবী কাত্তায়নী হোন বা দেবী লোক্খী, দেহাতীত আত্তা হোক বা দেহভাণ্ডের চক্রো, আমরা যে মায়ের ভাষায় কথা বলি তা সুপ্রাচীন, অ-সংস্কৃত, অবৈদিক, এবং পূর্ব ভারতীয় আউটার এরিয়ান ভাষা, যা পালির সমতুল্য সংলগ্ন আত্মীয় একটি সুপ্রাচীন রাঢ়বঙ্গীয় ভাষার উত্তরাধিকার বহন করে। যাকে ভুল উচ্চারণ ভেবে, গ্রামীণ বা দেশজ উচ্চারণ ভেবে সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিতরা সঙ্কুচিত থাকেন, তা আসলে আপনার শেকড়ের গর্বের উত্তরাধিকার।
আজকের বাংলা ভাষার ওপরে সংস্কৃত তৎসমের পোশাকি বানানবিধির আবরণ সরিয়ে দিলেই পাণ্ডু রাজার ঢিবি থেকে চন্দ্রকেতুগড়ের সভ্যতার আসল ভাষা বেরিয়ে আসবে, বাঙালির অতীতগৌরবের ধ্রুপদী ভাষা বেরিয়ে আসবে।
বাংলা বর্ণমালা তন্ত্রাশ্রয়ী। প্রথম বর্ণ ক এসেছে কালী থেকে। এবং ব্রাহ্মী থেকে আজকের বাংলায় ক অক্ষরে প্রাচীন বলাকা মাতৃকার আদল আছে, যেখান থেকে কালী, যেখান থেকে মহাবিদ্যা বগলামুখী এসেছেন।
বাংলা শব্দমালা অবৈদিক ও ব্রাত্য। বাংলা উচ্চারণ নিয়ে সংকুচিত হবেন না। আমরা বিদ্দা বলি, ভিদিয়া নয়। ওটা আড়াই হাজার বছর ধরেই বিদ্দা, ওতে আপনার জাতীয় গর্ব আছে। আমরা শুজ্জো বলি, সুরিয়া নয়। আমরা ওগ্নি বলি, আগুন বলি। প্রাচীন স্লাভ ভাষাতেও আগোন বলে, ওগ্নি (Ogni) লেখে।
বাংলা একটি সুপ্রাচীন ইন্ডো ইউরোপীয় ভাষা। ধ্রুপদী মর্যাদা পায়নি কারণ চতুর্দিকে দালাল, কারণ আবাপ ধরনের দালাল মিডিয়া আর যাদবপুর ধরনের দালাল একাডেমিয়া দিয়ে বাঙালিকে শেকড়বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে সেজন্য আমার কথাগুলো বাঙালির কাছে পৌঁছে দিতে ওরা বাধা দেয়। চাড্ডি ছাগু বিশ্বমানব এই একজায়গায় এসে জোট বেঁধেছে, বাঙালিকে ভুল বোঝাবে বলে।
এরা কেউ বেদের ছেলে বাপন, সবই বেদে আছে, হরপ্পাও বৈদিক। আর সেই হরপ্পার অনেক আগে থেকে রাম আর হনুমান আছে বলাই বাহুল্য। আবার কেউ ভুলনিবাসী ভোম্বল, তার সবই অস্ট্রিক (অথচ বৈদিক আর্যেরও পরে ভারতে অস্ট্রোএশিয়াটিক এসেছে)। কেউ বিশ্বমানব, তার কাছে শক হুন দল পাঠান মোগল সবই এক, বাঙালির স্বতন্ত্র কোনও অস্তিত্ব নেই। কেউ ভাষাবাদী কাংলাপক্ষ, বাংলাদেশ থেকে ধার করে এনেছে জয় বাংলা, সে মোল্লার লুঙ্গিতে বাঙালির জাতীয় পুঙ্গির প্রকাশ খুঁজে পায়।
বাঙালি, ভাবছেন এর সমাধান কোথায়? জয় মা কালী বলুন সবাই একমনে একসঙ্গে বলুন, মায়ের সামনে অনেক বলি দেওয়ার আছে। এত জোরে জয় মা কালী বলতে হবে, শত্রু যেন ভয়ে কেঁপে ওঠে।
এবং সেই বেদও তো কোনওভাবে মা কালীকে ছাড়া নয়, বাংলার মুসলমানও মা কালীকে অস্বীকার করলে ভয়াবহ মাশুল দেবে। আসুন, আমাদের মায়ের মন্দিরে সবার সমান আমন্ত্রণ। আসুন, কারণ মা ছাড়া আর কেউ নেই।
কারণ, কালিকা বঙ্গদেশে চ। বঙ্গদেশের অধিষ্ঠাত্রী কালী। কারণ, কলৌ কালী কলৌ কালী নান্যদেবো কলৌ যুগে। কলিযুগে কালী ছাড়া আর কেউ নেই। কারণ, একৈবাহং জগত্যত্র দ্বিতীয়া কা মমাপরা। মা বলেছেন, তিনি একাই আছেন, তিনি ভিন্ন আর দ্বিতীয় কেউ নেই।
তমাল দাশগুপ্ত Tamal Dasgupta
জয় মা কালী। জয় জয় মা।
তমাল দাশগুপ্ত ফেসবুক পেজ, আঠেরো নভেম্বর দুহাজার বাইশ