
কালীনাম, কালীনাম, কালীনাম কেবলম্ ।
মায়ের নাম করতে আমাদের মহা আনন্দ হয়। ঋগ্বেদে যিনি নক্ৎ কৃষ্ণী, নিশা, এবং রাত্রি বলে সম্বোধিত, তিনিই আমাদের কালী। তিনি বৈদিকদের দেবী নন, কিন্তু সবাই তাঁর সামনে আত্মসমর্পণ করে, তাই বৈদিকও করেছিল। মা কালীকে আজ আমরা “কালো মেয়ে” নাম দিয়ে ঘরের মেয়ের মত ডাকি, সেদিনও ঋগ্বেদের রচনাকালে তাঁকে কৃষ্ণী অর্থাৎ “কালো মেয়ে” বলে ডাকা হত। প্রসঙ্গত এ ঋগ্বেদের উল্লেখ, মহা প্রাচীন। এমনকি পরমেশ্বর কৃষ্ণের থেকেও এই কৃষ্ণী অনেক প্রাচীন। আর এই কালো মেয়েই হলেন বৈদিকদের আদিমাতা অদিতি, তিনি কালরাত্রিতে বিশ্বচরাচরের নিশ্চিন্ত আশ্রয়, আর রাত্রিশেষে তিনিই ঊষা হয়ে জগৎ আলো করেন। কালো মেয়ের পায়ের তলায় দেখে যা আলোর নাচন।
© তমাল দাশগুপ্ত Tamal Dasgupta
কালো রঙে সব রঙ এসে মেশে, তাই মা আমাদের কালী নাম ধারণ করেন। তিনি কালসমুদ্রের একমাত্র তারিণী, সেজন্যও তিনি কালী। মায়ের জয়ধ্বনি দাও সবাই।
জয় মা, জয় মা, জয় মা। জয় মা কালী। জয় জয় মা।
মায়ের ছবিটি ইন্টারনেট থেকে।
সংযোজন:
হ্যাঁ, শাস্ত্রীয় ও পৌরাণিক কারণ আছে। আলাদা একটা প্রবন্ধে বিস্তারিত লিখে জানাব। তবে কালো রঙের কালীই বেশি প্রাচীন, জনপ্রিয় এবং আমার মতে যথার্থ।
নীল রঙের কালীর মধ্যে কয়েকটি আলাদা প্রভাব আছে, তার মধ্যে বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনীর হিমালয়দুহিতা পার্বতী যিনি আগে কালী নামেই পরিচিত ছিলেন, তিনি মিশে আছেন, তিনি বারবার নীলপদ্ম বা নীলাঞ্জনের সঙ্গে তুলনীয় হয়েছেন। এবং বাংলায় একদা অত্যন্ত জনপ্রিয় নীলা দেবীও (নীলতারা/নীলচণ্ডী/নীলসরস্বতী) মিশে আছেন।
তমাল দাশগুপ্ত ফেসবুক পেজ, আঠাশ অক্টোবর দুহাজার বাইশ