
সেই প্রাচীন সিংহবাহিনী, যাঁকে ইসলাম মুছে দিয়েছে।
আরব জগতে ইসলাম প্ৰচলিত হওয়ার আগে একজন সিংহবাহিনী মাতৃকার উপাসনা চালু ছিল। তাঁর নাম ছিল আল-লাত। ইনি আল্লার থেকেও অনেক প্রাচীন, ইনি চন্দ্রদেবী ছিলেন। পরে এঁকে আল্লার কন্যা আখ্যা দিয়ে appropriate করার প্রয়াস হয়, শেষে সম্পূর্ণ মুছে দেওয়া হয়। রুশদির সেটানিক ভার্সেস মনে আছে তো? যে উপন্যাসের জন্য ফতোয়া জারি হয়েছিল, যার জন্য উনি ছুরি খেলেন কিছুদিন আগে? আল-লাতের সঙ্গে সংযোগ আছে।
এই যে সিংহবাহিনী আল-লাতের মূর্তি দেখছেন, এটি সিরিয়ার দামাস্কাস মিউজিয়ামে ছিল। ইসলামিক স্টেটের বাড়াবাড়ি ও বাঁদরামির উপদ্রবে ইনি বর্তমানে উদ্বাস্তু হয়ে জার্মানির মিউজিয়ামে আছেন।
মাতৃধর্ম আন্তর্জাতিক, আবহমান। বাঙালি পৃথিবীর শেষ মাতৃকা উপাসক মহাজাতি। তাই সাবধান। ঘরশত্রু দালাল থেকে সাবধান। সেকুলার থেকে সাবধান, বামজেহাদি থেকে সাবধান, ওদের কাছে আপনার ধর্ম জাহিলিয়া, আপনি কাফের, ওরা বাংলাদেশ জুড়ে হিন্দুর এথনিক ক্লিনজিং করেছে, এবং এখন পশ্চিমবঙ্গে করতে চাইছে। গোবলয় চাড্ডি থেকেও সাবধান, ওরা জগন্মাতার ধর্মকে ভুলিয়ে রাম হনুমান চালাতে চায়। মনে রাখুন দিলু মোষ বলেছিল ইয়ে দুর্গা কওন হ্যায়। বিশ্বমানব থেকে সাবধান, উদারবাদী থেকে সাবধান, ওরা আপনাকে শেকড়বিচ্ছিন্নতা বিভ্রান্তি ও আত্মবিস্মৃতির অন্ধকারে ডুবিয়ে দিতে চায়।
কেবলমাত্র জয় মা দুর্গা জয় মা কালী ধ্বনিতে এই বাঙালি মহাজাতির সংজ্ঞায়ন হয়, যেন না ভুলি কখনও, যেন ভুলতে না দিই। যারা বাংলাদেশ আওয়ামি স্লোগান জয় বাংলা ধার করে এনে একই ডিমের দুইটি কুসুম, গুটখা ঝটকা ইত্যাদি সসেমিরা প্রলাপ আউড়ে গ্রেটার ইসলামিক বাংলাদেশ বানাতে চাইছে, তারা বাঙালির শত্রু, তাদের কথায় বিভ্রান্ত হবেন না। যারা বলে বাংলা ভাষায় কথা বললেই বাঙালি, তারা বাঙালিকে তার শেকড়ে থাকা আবহমান মাতৃধর্ম ভুলিয়ে দিতে চাইছে, তারা ঘৃণ্য ঘরশত্রু।
আবার গোবলয়ের রাম আর হনুমানের মন্দির তো বাংলায় আছে, তারা তাই বাংলারও, এরকম বলে যে গেরুয়া দালাল, তাদের কথায় বিভ্রান্ত হবেন না, বাংলায় মসজিদও আছে, বাংলায় কথা বলা মুসলমানও আছে, তাতে আরবের ধর্মটা আমাদের হয় না। দিলু মোষ আর গর্গান্ডুর মত গোবলয় ও ইসলামিক বলয়ের দালালদের হটিয়ে না দিলে আমাদের ধর্ম বিপন্ন হবে।
মাতৃধর্মের আন্তর্জাতিক ইতিহাস জানতে পড়ুন আমার প্ৰবন্ধ, মাৎস্যন্যায় পুজোসংখ্যায় প্রকাশিত: “সাত সমুদ্র তেরো নদী: মাতৃধর্মের আদি আন্তর্জাতিক চলাচল”
জয় জয় মা।
তমাল দাশগুপ্ত ফেসবুক পেজ, এগারো অক্টোবর দুহাজার বাইশ