
মাতৃকার গণদের প্রধান। গণেশ বৈদিক নন, তিনি ব্রাত্য তন্ত্রাশ্রয়ী সভ্যতার প্রতীক। আমাদের লিপি তন্ত্রাশ্রয়ী, আমাদের প্রত্যেক বর্ণ মাতৃকাবর্ণ, আর তাই গণেশ লিপিকার। আদি হরপ্পা সভ্যতার পিলু (বহতা অংশুমালী দ্রষ্টব্য) থেকে গঙ্গারিডাই সভ্যতার রণহস্তীর বৃংহণ, পরিণত হরপ্পা সভ্যতায় পূজিত সন্তানকোলে মাতা থেকে ধ্রুপদী ভারতে মহালক্ষ্মীর গজ -অভিষেক স্মৃতি – এই ধর্মতত্ত্বে গণেশ সুপ্রাচীন। বৈদিক নন, কিন্তু সুপ্রাচীন। এবং সর্বোপরি তিনি শাক্ত ধর্মের সর্বোচ্চ দ্বারপাল ক্ষেত্রপাল, তাঁর ভগ্ন দন্ত সগৌরবে সেই কাহিনী ঘোষণা করে। পালযুগের মূর্তিতে নিয়মিত মা দুর্গা/উমা/বিশালাক্ষীর এক পাশে গণেশকে দেখা যায়, অন্যদিকে সাধারণত স্কন্দ, এবং মধ্যযুগে কবিকঙ্কণ থেকে তো সর্বদাই মা দুর্গার সন্তানদের মধ্যে গণেশ আছেন। বলা দরকার, চার সন্তানের মধ্যে গণেশই সর্বপ্রথম। স্কন্দ প্রথমে সপ্তমাতৃকার আবহে ছিলেন, কিন্তু গণেশ প্রথম থেকে আমাদের মায়ের ছেলে, জগদকারণ জগন্মাতার সন্তান।
© তমাল দাশগুপ্ত
আজ গণেশ চতুর্থী। আজ গণেশ মহাভারত লিখতে শুরু করেন বলে খ্যাত আছে (মহারাষ্ট্র রাজ্যে)। মায়ের সন্তানদের নেতা, মায়ের গণদের অধিপতি, মায়ের মুখ্য দ্বারপাল গণেশ দেবতার জয় হোক। জয় জয় মা।
তমাল দাশগুপ্ত ফেসবুক পেজ, একত্রিশ আগস্ট দুহাজার বাইশ