
বাঙালির অন্ধকার মধ্যযুগে মা কালীর আলো।
★ ষোড়শ শতকে বারো ভুঁইয়াদের বেশিরভাগই কালীভক্ত ছিলেন: প্রতাপাদিত্য বা চাঁদ-কেদার। প্রতাপের ইষ্টদেবী মা যশোরেশ্বরী কালী তো আজও পূজিত হচ্ছেন (মানসিংহ নিয়ে গেছিলেন এরকম একটা প্রবাদ থাকলেও সেটি অসত্য, মানসিংহ নিয়ে গিয়েছিলেন চাঁদ কেদারের পূজিত মাতৃমূর্তি যা আজকে অম্বর দুর্গে আছে)।
আমরা জানি প্রতাপের খুড়ো এবং শত্রু বসন্ত রায় কালীঘাটের মন্দিরটি সংস্কার করেন।
★প্রসঙ্গত এই বারো ভুঁইয়া যুগের সমকালে বা ঈষৎ প্রাক্কালে মধ্যযুগের শাক্ত ধর্মের একাধিক সেমিনাল টেক্সট সংকলিত, যেমন আগমবাগীশ কর্তৃক বৃহৎ তন্ত্রসার এবং ব্রহ্মানন্দ কর্তৃক শাক্তানন্দ তরঙ্গিনী। একাধিক কালীসাধক এই যুগে বাঙালি শাসকদের গুরুস্থানীয়।
★ অষ্টাদশ শতকের সূচনায় দেখি মোগল শাসনের বিরুদ্ধে অন্তিম বিদ্রোহী সীতারামও কালীভক্ত, কালী তাঁর ইষ্টমাতৃকা।
★ অষ্টাদশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে নবাবী আমল শেষে বাংলার হিন্দুর পুনরুত্থান ঘটছে, এমন সময় রাজা কৃষ্ণচন্দ্র উদ্যোগ নিয়ে দশ সহস্র কালীপুজো প্রচলন করেন নিজ রাজ্যমধ্যে। শাক্ত কবি রামপ্রসাদ কবিরঞ্জন উপাধি পেয়েছিলেন কৃষ্ণচন্দ্রের কাছে।
★ দেখছেন নবাবী আমলের অন্তিম লগ্নে ১৭৫৫ সালে নাটোরের রাণী ভবানী কর্তৃক নির্মিত মুর্শিদাবাদ জেলায় চার বাংলা মন্দিরগাত্রের টেরাকোটা ভাস্কর্যে বিরাজমান মা কালী।
জয় মা কালী। জয় জয় মা।
© তমাল দাশগুপ্ত Tamal Dasgupta
ছবিটি ইন্টারনেট থেকে।
তমাল দাশগুপ্ত ফেসবুক পেজ, সাত সেপ্টেম্বর দুহাজার বাইশ