বাঙালির তন্ত্রধর্ম আবহমান। তার বিবর্তনে বৌদ্ধধর্ম একটা ইন্টারমিডিয়েট ধাপ মাত্র। এই ঐতিহাসিক স্তরকে প্রয়োজনের থেকে বেশি বা কম গুরুত্ব দিলে প্রমাদ হবে। তন্ত্র অতি প্রাচীন, প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে চলে আসছে। বুদ্ধ ও তান্ত্রিক বৌদ্ধধর্ম একটি নির্দিষ্ট যুগের ফসল। বৌদ্ধ নিয়ে আদিখ্যেতা ও বৌদ্ধ সম্পর্কে বিদ্বেষ দুইই মূর্খামির পরিচায়ক। সবই যেমন ব্যাদে নেই, সবই তেমন বুদ্ধেও নেই।
তন্ত্রের উত্থান যুগে যুগে নতুনভাবে ঘটেছে। গুপ্ত-পরবর্তী যুগে তন্ত্রাশ্রয়ী বৌদ্ধ ধর্ম গৌড়ের উত্থানের ফলে ঘটেছে, তন্ত্রাশ্রয়ী হিন্দু ধর্মও তাই। এ দুটিই ইতিহাসের নির্দিষ্ট বাঁকে বাঙালির গৌড় সাম্রাজ্যের ফলে উত্থিত হয়েছিল।
মাতৃধর্মকে সবার আগে রাখুন। বাঙালিকে সবার আগে রাখুন। তন্ত্রকে সবার আগে রাখুন। যার বুদ্ধকে বা বেদ পুরাণ অথবা শরিয়া কোরআনকে সবার আগে রাখার ইচ্ছে হবে, তন্ত্রের আগে বাঙালিরও আগে মা কালীরও আগে এইসব রাখার ইচ্ছে হবে, তার পেছনে হাল্কা করে একটি – না না, লাথি নয়, কোনও মারধর নয় – একটি থাবড়া মেরে তাকে পড়াশোনা করতে ঠেলে পাঠান আমার এই পেজে।
তমাল দাশগুপ্ত ফেসবুক পেজ, কুড়ি সেপ্টেম্বর দুহাজার বাইশ