
আমাদের চতুর্দিকে অবস্থান করেন দিকপাল ভৈরব যাঁরা আমাদের জগন্মাতার তন্ত্রধর্মের অতন্দ্র প্রহরী। এঁদের অষ্টাঙ্গ ভৈরব বলা হয়। এঁরা আবরণ দেবতা। এঁরা আমাদের দর্শন ও সমাজ, তত্ত্ব ও প্রয়োগকে রক্ষা করেন। আমাদের জাতির কেন্দ্রে থাকা মাতৃকা উপাসক তন্ত্রধর্মকে সমস্ত দূষণ অন্তর্ঘাত এবং বহিরাগত আক্রমণ থেকে রক্ষা করেন ভৈরবরা, তাঁরা আমাদের সীমান্তপ্রহরী। ভৈরবরা ভীতিজনক, কারণ তাঁরা শত্রুবিনাশক। ভৈরব শব্দের ব্যুৎপত্তি হল, যিনি ভীষণ রব করেন।
আমাদের পূর্বদিক রক্ষা করেন অসিতাঙ্গ ভৈরব ও রুরু ভৈরব। দক্ষিণ দিক রক্ষা করেন চণ্ড ভৈরব ও ক্রোধ ভৈরব। পশ্চিম দিকের প্রহরী হলেন উন্মত্ত ভৈরব এবং ভয়ঙ্কর ভৈরব। উত্তর দিকের প্রহরী হলেন কপাল ভৈরব এবং ভীষণ ভৈরব। এছাড়া মধ্যস্থল রক্ষায় আছেন সংহার ভৈরব।
দুর্গাপুজোর সময় মাতৃমণ্ডলে এই নয়জন ভৈরবের স্তুতি হয়, আবরণ পূজার মাধ্যমে।
মহাকাল ভৈরব বা ধর্মপাল স্বয়ং এই নজন ভৈরবের নেতৃত্ব করেন।
ওঁ ভৈরবায় নমঃ।
★ তমাল দাশগুপ্ত Tamal Dasgupta
পালযুগের গৌড়বঙ্গে একাদশ শতকে নির্মিত মহাকাল ভৈরব মূর্তি। Sothebys নিলামসংস্থার সাইট থেকে। হ্যাঁ, আমাদের অনেক শেকড়ই বিস্মৃত ও বেহাত হয়েছে। বাঙালির আত্মবিস্মৃতি ও শেকড়বিচ্ছিন্নতা কাটিয়ে উঠতে, বাঙালিকে তার তন্ত্রধর্মের শেকড়ে পুনঃসংস্থাপিত করতে নিয়মিতভাবে আমার এই পেজের সমস্ত নতুন ও পুরোনো পোস্ট পড়ুন ও পড়ান।
জয় ভৈরব। জয় জয় মা।