
কৃষ্ণজন্মাষ্টমী উপলক্ষে আমরা বৈষ্ণব ধর্মের সম্পূর্ণ তন্ত্রাশ্রয়ী বৈশিষ্ট্য আলোচনা করব।
চক্র শঙ্খ পদ্ম সবই তন্ত্রের মাতৃকা উপাসনার ধ্রুপদী চিহ্ন, হরপ্পা সভ্যতা থেকে প্ৰচলিত আছে। বিষ্ণুর নাগছত্র সর্পমাতৃকার স্মারক। শ্রী/লক্ষ্মী হোন বা একানংশা/যোগমায়া, এঁদের আশ্রয়েই সৃষ্ট বৈষ্ণবভাগবত ধর্ম। ঋগ্বেদের গৌণ দেবতা বিষ্ণুর উত্থান হয়েছে তন্ত্রের আশ্রয়ে। পাঞ্চরাত্র ধর্ম নারায়ণযুগ থেকে বৃষ্ণি বাসুদেব যুগ অবধি এই ভাগবত ধর্মের তন্ত্রাশ্রয়ী রূপের সাক্ষ্য দেয়। হরপ্পা থেকে চন্দ্রকেতুগড় থেকে গৌড় – অনেক সহস্র বছর ধরে সন্তানকোলে মাতৃকার উপাসনা হত, সেই ধারাতেই যশোদা ও শিশু কৃষ্ণ, তৎসহ কৃষ্ণের বাল্যলীলা। সর্বশেষে পালযুগে সহজিয়া প্রেমধারায় রাধা ধারণা এবং শ্রীরাধার পদাশ্রিত কৃষ্ণ, অর্থাৎ শক্তির পদাশ্রিত শক্তিমান, যার চূড়ান্ত স্ফুরণ শাক্তধর্মী সেনযুগের গীতগোবিন্দে।
তন্ত্র বাদ দিলে, তন্ত্রের শক্তি ধারণা বাদ দিলে বৈষ্ণব ধর্মের নিজের বলে আর কিছু থাকে না, ঋগ্বেদে বিষ্ণুর দুয়েকটি গৌণ উল্লেখ ছাড়া।
© তমাল দাশগুপ্ত
জয়দেবের গীতগোবিন্দের দেহি পদপল্লবমুদারম্ মুহূর্তটির ভাস্কর্য। বৃন্দাবনের প্রেম মন্দির।
তমাল দাশগুপ্ত ফেসবুক পেজ, উনিশ আগস্ট দুহাজার বাইশ
★★★
এছাড়া শেয়ার করা হয়েছে
আজ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে পৌণ্ড্রক বাসুদেবের পুণ্য স্মৃতি পুনর্জাগরিত হোক।
পৌণ্ড্রক বাসুদেব
বাংলার বৈষ্ণব ধর্ম আদিযুগ
কৃষ্ণচরিত্রের বিবর্তন