দিল্লি বঙ্গজীবনে নানা দ্যোতনা বহন করে। যেমন দিল্লির বঞ্চনা। যেমন দিল্লির লাড্ডু, যদিও দিল্লির লোকে জানে না যে দিল্লির লাড্ডু এমন স্পেশাল এবং সেই দিল্লির লাড্ডু বাঙালির মধ্যে এত বিখ্যাত (উত্তর ভারতে শাদি কা লাড্ডু একটা প্রবাদ আছে। সেটা কোনওভাবে দিল্লি কা লাড্ডু হয়ে বাঙালির মধ্যে প্ৰচলিত হয়েছে)। তবে সে তো বাঙালিও জানে না, বঙ্গাল কা কালা জাদু দিল্লিতে এত বিখ্যাত। কালচারাল স্টিরিওটাইপ আর কি।
কিন্তু প্রসঙ্গে ফিরি। দিল্লি গত একশ এগারো বছর ধরে আধুনিক ভারতের রাজধানী। নেতাজিও বলেছিলেন, দিল্লি চলো।
নেতাজিকে মানি, উপরন্তু ভারতের রাজধানী। দিল্লি আমাদের যেতেই হয় নানা প্রয়োজনে। অনেকেই নানা কাজে সেখানে যান। আমি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কলেজে অধ্যাপনা করতে গেছিলাম প্রায় বাচ্চা বয়সে, সে আজ চোদ্দ বছর আগেকার কথা। সেই থেকে আজ আমার চোদ্দ বছরের দিল্লিবাস চলছে। তা দিল্লিতে অনেক বাঙালি থাকেন।
সাধারণ বাঙালির মধ্যে ভারতের রাজধানী দিল্লি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়াস হিসেবে আমার সহধর্মিণী ঋতু একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন কিছুদিন আগে। দিল্লির ডায়েরি। সেই চ্যানেলে আজ দিল্লি বিমানবন্দরের টার্মিনাল থ্রির লাউঞ্জে বিনামূল্যে আনলিমিটেড বুফে (প্রায় বিনামূল্যে। দু টাকা লেগেছিল আমার ক্রেডিট কার্ডে) এবং চেক ইন করার খুঁটিনাটি। এই ভিডিওটি আমার আনাড়ি হাতে শুট করা, ধারাভাষ্যও আমার, সেজন্য মনে হল এই পেজে থাক। স্ত্রীর পাশে দাঁড়ানো স্বামী মাত্রেই কর্তব্য, সে যতই অপটুভাবে দাঁড়াই না কেন।
লা দোলচে ভিতা। সুন্দর জীবন। তার আস্বাদ নিতে হয়, দু দণ্ড জিরোতে হয়। জীবনে কি শুধু যুদ্ধ আছে নাকি? শান্তিও খুঁজে নিতে হয়। আসুন, দুদণ্ড বিশ্রাম করি, সেই সঙ্গে খাদ্য ও পানীয় উপভোগ করি। ঋতুর চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে দেবেন, ওকে উৎসাহ দেওয়া দরকার। উৎসাহ দিলে তবেই না ও দিল্লি নিয়ে আরও নতুন নতুন ভিডিও তৈরি করবে!
অলমিতি। দিল্লি বিমানবন্দর ঘুরে আসুন। অনেকেই এয়ারপোর্ট লাউঞ্জে আনলিমিটেড বুফে সম্পর্কে আগ্রহী হন, এটা দেখে নিতে পারেন।
★ তমাল দাশগুপ্ত Tamal Dasgupta
তমাল দাশগুপ্ত ফেসবুক পেজ, ষোলো আগস্ট দুহাজার বাইশ।