
চল মিনি আসাম যাব
দেশে বড় দুখ রে,
কিন্তু হায়! সেখানেও যে যদুরাম বসে আছেন। ৯ই অগাস্ট, দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন সিলেটের চা বাগানগুলোর প্রায় দেড় লাখ শ্রমিক। ক্রমে আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকায় বিভিন্ন সমাবেশ, মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বন্ধুদের সাথে আমিও সেখানে যোগ দিই। ২৭ আগস্ট, শাহবাগে যখন সমাবেশ চলমান তখন গণভবনে প্রধানমন্ত্রী চা কোম্পানির মালিকদের সাথে মিটিং করছেন।উল্লেখ্য চা শ্রমিকদের কোন প্রতিনিধি সেখানে ছিলেন না। সমাবেশ চলা অবস্থায় আমরা জানতে পারি মুজুরি ১৭০ টাকা ধার্য্য করা হয়েছে এবং শ্রমিকরা এই মুজুরি মেনে নিয়ে কাল থেকে কাজে যোগাদান করবেন। মাত্র ৫০ টাকা বাড়িয়েছে বলে চা শ্রমিকরা তাদের বাগানে নেচে গেয়ে এটাকে উদযাপন করলেন। তারা কি জানেন বিশ্ব ব্যাংকের মানদন্ড অনুযায়ী দৈনিক ১.৯০ ডলারের নিচে মুজুরি পাওয়া লোক চরম দরিদ্র। লেখাটা যখন লিখছি তখন কারেন্সি রেট ১০৩.৭৫। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় আসে ১৯৭.১২ টাকা।দেড় দশক আগেও দেশে চা আমদানির পরিমাণ ছিল ৭০ থেকে ৮০ লাখ কেজি। প্রতি বছর উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে সেই আমদানির পরিমাণ এখন ৮ থেকে ৯ লাখ কেজির নিচে নেমে গেছে। মূলত ২০০১ সাল থেকেই দেশে ধারাবাহিকভাবে চা উৎপাদন বেড়েছে।সে বছর উৎপাদন হয়েছিল ৫ কোটি ৩ লাখ কেজির মত। প্রতিবছর এই উৎপাদন বেড়ে ২০২১ সালে ৯ কোটি ৬০ লাখ কেজিরও বেশি।ইদানীংকালে রপ্তানিও কমে গেছে কারণ দেশের বাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে এবং ভাল দাম পাচ্ছে। কাপ প্রতি চা আগে ছিল ৫ টাকা এখন সেটা ৮টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। জায়গা বিশেষ টাকা প্রতি ১০। এতকিছুর পরও চা শ্রমিকের মুজুরি ১২০ই রয়ে গেল। চা শ্রমিকের সন্তান সন্তোষ রবি দাশ নামক এক যুবকের ফেসবুক পোস্ট কে কেন্দ্র করে মূলত আন্দোলন গড়ে উঠে এবং দৈনিক ৩০০ টাকা মুজুরি দাবি করেন। অবশেষে চা কোম্পানির মালিকদের ঠিক করে দেওয়া ১৭০ টাকাই আমাদের মাননীয়া চূড়ান্তভাবে ঘোষনা দেন।কি করুণ খেলা তাদের সাথে খেলছেন আমাদের মাননীয়া!
এবার আসুন আমরা তাদের রোজকার খাবার খরচটুকু দেখার চেষ্টা করি-
যেমন , সকালবেলা তারা ভাত খায়। ভাতের সঙ্গে ডাল বা ডিম সঙ্গে কোনো তরকারি। এখন সে যদি ১০০ গ্রাম চালের ভাতের সাথে ২০ গ্রাম ডাল ও একটা ডিম নেয় তাহলে তার বাজারমূল্য আসে ২৩ টাকা (১০০ গ্রাম চাল ৮ টাকা, ২০ গ্রাম ডাল ৩ টাকা ও একটি ডিম ১২ টাকা) তিনবেলা সমপরিমাণ খাবার খেতে দৈনিক খরচ প্রায় ৭০ টাকা। মাসে খরচ হবে ২১০০ টাকা। এই টাকা যদি একজনের পিছনে খরচ হয় সেখানে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের খাবার খরচ মেটাবে কি করে? (পরিবারে গড়ে তিন থেকে চারজন সদস্য) চা বাগানের শ্রমিকদের না আছে ভাল থাকার জায়গা না আছে ভাল চিকিৎসা।জ্বর থেকে শুরু করে টিউমার রোগের একই ঔষুধ দিয়ে চলছেন বছরের পর বছর। যখন দেখছেন অবস্থা বেগতিক তখন সদরে আনার পরামর্শ দিয়ে থাকেন কিন্তু অবস্থা এতটাই খারাপ হলে রোগীকে সদর হসপিটাল নেওয়ার পরামর্শ দেয় তখন রোগীর হাতে আর বেশি সময় থাকে না। মাঝ পথেই এক্সপায়ার। শিক্ষার কথা না হয় নাই বললাম,সারাদেশে শিক্ষার যে বেহাল দশা সেখানে প্রান্তভূমির জনগণদের কথা কিভাবে বলি! এই মুজুরি আমাদের প্রতিবেশি দেশগুলো থেকেও কম। অথচ আমরা হরহামেশাই শুনে থাকি দেশ দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলছে, উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে,বাংলাদেশ দক্ষিন এশিয়ার রোল মডেল, প্রতি প্রহরে জিডিপির রোজনামচা। অর্থনীতির তত্ত্বগুলো তাদের গুলিয়ে খাইয়ে দিলেও বুঝবে না তাদের সাথে হচ্ছে কি !প্রান্তিক মানুষগুলোর মৌলিক অধিকার নিশ্চিত না করে একটা দেশ কেমন করে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসতে পারে?
২.
২৭শে আগস্ট সমাবেশ শেষ করে ফিরতি বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলাম নগরীর ব্যস্ততম স্টেশনে। হঠাৎ সামনে দিয়ে এক রিকশা চলে গেল; রিকশার পুরুষযাত্রী উঠকো মন্তব্য করে গেলেন ‘মাথায় ঘোমটা দাও’। চেনা নেই জানা নেই এমন মন্তব্য কেউ কাউকে করতে পারেন? আমার মাথা আমাকে ভাবতে দিন সেটা ঢেকে রাখবো না খুলে রাখব। অন্যের ব্যক্তিগত জীবনে যে অনধিকার চর্চা করা যায় না সেটা আরবের গিলুহীন জাতিকে কে বোঝাবে? কেউ কি আছ এমন? যুগ যুগ ধরে এ অন্যায় আর মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। এই যে মাথা শরীর ঢেকে রাখার কথা মোল্লারা বলেন এর পিছনে কারণ বলেন এভাবে মেয়েরা নিরাপদ। আমরা দেখেছি হিজাব পরিহিতা মেয়েও ধর্ষণের স্বীকার হয়েছে এবং এই হুজুরদের দ্বারাই। সোশ্যাল মিডিয়ায় এগুলো অহরহ চোখে পড়ছে। কপালে টিপ পড়ার কারণে রাস্তাঘাটে মেয়েদের হেনস্তা করা হচ্ছে। সিগারেট ফুঁকতে দেখলে মেয়েমানুষ কেন সিগারেট নিচ্ছে?” কই সিগারেট যখন ছেলেদের হাতে থাকে তখন তো কিছু বলতে শুনি না। সিগারেট স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর তা ছেলেমেয়ে উভয়েই। বাংলাদেশের মেয়েরা সাফ চ্যাম্পিয়নশীপ হলে তাদেরকে বিমানবন্দর থেকে সংবর্ধনা দিয়ে সারা শহর ছাদ খোলা বাসে করে ঘুরানো হয়। তারই কয়েকদিন পর গানের পাখি কোরআনে হাফেজ হন এক ছেলে তাকেও হুজুরের দল গিয়ে বিমানবন্দরে সংবর্ধনা জানাল। আগেও অনেকে কোরআনে হাফেজ হয়েছেন তাদের বেলায় এমন সংবর্ধনা দেখিনি। এমনটা করা হয়েছে যাতে করে নারীদের এমন জয় দ্রুতই মিডিয়ার আড়ালে চলে যায়।
মেয়েদেরকে এভাবে একচোখে দেখার সংস্কৃতি ক্রমশ অগ্রগতি পাচ্ছে বলতেই হবে। নরসিংদী স্টেশনে এক মেয়েকে হেনস্তা করেছে আরেক মধ্যবয়সী মহিলা, স্লিভলেস জামা পরিধান করার জন্য। ইতিমধ্যে আমরা হাইকোর্টের রায় শুনেছি যেখানে বলা হচ্ছে এই ঘটনার জন্য মেয়ের পোশাকই দায়ী। একটা গণতান্ত্রিক দেশের উচ্চ আদালতের কাছ থেকে এমন রায় কখনোই কাম্য হতে পারে না। এই কাঠমোল্লাদের খুশি রাখতে এরকম নারী বিরোধী রায় আমরা আগেও শুনেছি যেখানে বলা হচ্ছে কোন নারী বিয়ের রেজিস্টার বা কাজী হতে পারবেন না কারণ নারীরা ঋতুমতী। নারীদের এভাবে হেনস্তা করার ঘটনা দিনকেদিন বেড়েই চলছে এবং আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় যায়ওায় পর তাদের সাহস বেড়ে গেছে এটা বলতেই হবে। আমাদের মাননীয়া এদের শক্তহাতে দমন করছেন এমনটা বলা যায় কি? যদি কেউ এমনটা দাবি করে থাকেন তাহলে ধরে নিবেন সেটা তার কষ্টকল্পিত ছাড়া আর কিছুই নয়।
৩.
এবার আসি ইরানী নারী মাআশা আমিনি এবং আমাদের দেশের হিজাব ইজ মাই চয়েজ বলা মৃগী রোগীদের প্রসঙ্গে।
ইরানে নারীদের একটা আন্দোলন শুরু হয়েছে এবং ইরানের সর্বত্র তা ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু নারী নয় সাথে যোগ দিয়েছেন ইরানের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাকামী তরুণ-তরুণীসহ সর্বস্তরের মানুষ। মেয়ে মাআশা আমিনি তার ভাইয়ের সাথে বেড়াতে এসেছিল তেহরানে। তার মাথার হিজাব যথাযথ ছিল না এই বলে পুলিশ মাআশা আমিনিকে ওদের ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে যায়। সেখানে মাআশা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।পরবর্তীতে মেয়েটার মৃত্যু হয়। মূলত এটাকে কেন্দ্র করেই ইরানে নারীদের বিক্ষোভ শুরু হয় এবং ইসলামিক শাসনের পতনের দাবি জানায়।
আশির দশকে শুরুর দিকে ইরানে ইসলামিক শাসন শুরুর পর থেকে সেখানকার নারীদের উপর একের পর এক কঠোর নিয়মনীতি আরোপ করা শুরু হয়। বর্তমানে ইরানী নারীদের এমন বিপ্লব দেখে আর বুঝার বাকি নেই যে বিগত চল্লিশ বছরের ইসলামিক শাসনামলে তারা ভিতরে ভিতরে কতটা ক্ষিপ্ত হয়ে আছেন। একবিংশ শতাব্দীতে এসে নারীর পোশাক নারীর দেহ নিয়ে রাজনীতি চরম বর্বরতা ।আশার কথা এই যে ইরানে নারীরা যদি সফল হয় তাহলে পার্শ্ববর্তী ইসলামিক দেশগুলো এমনকি আমাদের বাংলাদেশের নারীদের জন্যও এটা সুফল বয়ে আনবে। যেমনটা তালেবান ক্ষমতা দখলের পর এদেশের মোল্লাদেরর সাহস যেভাবে বেড়েছিল। এখন কথা হচ্ছে সবাই কি চায় এই স্বাধীনতা? না চায় না।তারা বলবে হিজাব ইজ মাই চয়েজ। মুসলিম পরিবারে জন্ম নেওয়া একটা মেয়েকে ইসলামিক শাসননীতি, হাদিস এসব শুনিয়েই বড় করা হয়। তাদেরকে বলা হয় শরীর ঢেকে রাখতে হবে, কথা নিচু স্বরে বলতে হবে আরও নানান বিধিনিষেধ। এসব শুনে শুনে এবং মেনে নিয়ে একটা মেয়ে যখন বড় হয়ে বলে হিজার ইজ মাই চয়েজ তাহলে সেটাতো তার চয়েজ হল না এটাকে হিজাব সিনড্রোম বলা যেতে পারে। মাআশা আমিনি মেয়েটাও তো হিজাব পড়েছিল মাত্র দুগাছি চুল দেখা গেল বলে মোরাল পুলিশ মেয়েটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলল! এখন হিজাব ইজ মাই চয়েজ বলা মৃগী রোগীরা কোথায়? আপনাদের কিছু কি বলার আছে? দুয়ে দুয়ে চার মেলাতে পারছেন না বলে দরজায় খিল এটে বসে আছেন? এখানকার বাম ঘরানার লোকগুলো কেমন পিনপতন নীরবতা পালন করছে। কিছু হলেই গলা ফাটিয়ে সম অধিকার সম অধিকার চাই চাই।ইরানী মেয়েটির বেলায় এই আওয়াজ উবে গেলে কেন? কাল যদি হিজাব পড়ার জন্য কোন মেয়েকে কিছু বলা হয় বামজেহাদিরা যাচাইবাছাই না করেই রাস্তায় নেমে পড়বে। হিপোক্রেটস্! বামজেহাদি (ইউনিয়ন, ফ্রন্ট) এদের মধ্যেই চৌদ্দদল তৈরি হয়ে গেছে। আদর্শের জগাখিচুরি। ইসলামিক শিক্ষাব্যবস্থায় যেখানে সাধারণ শিক্ষাকে মর্যাদা দেওয়া হয় না সেই কওমী শাখার ছাত্রদের নিয়ে তারা শিক্ষা দিবস পালন করছেন, সেদলই মাশা আমিনি হত্যার প্রতিবাদে মোল্লতন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াঁ বলে সমাবেশের আয়োজন করেছেন। চারপাশ বড়ই অদ্ভুত!
৪.
গতবছর দুর্গাপূজার সময় বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর কিরকম অত্যাচার হয়েছে তা আমরা সকলেই জানি। কুমিল্লার এক পুজামন্ডপে হনুমানের পায়ে কোরআন শরীফ রাখাকে কেন্দ্র করে সারা বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর গণহত্যা হয়ে গেল। পুলিশি তদন্তে বের হয়ে আসে এক মুসলিম যুবক একাজ করেছেন। পরে তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি করছেন যদিও এরকম নাটক আমরা সবসময় দেখে আসছি। মূলত ১৯৪৭ সালের পর থেকেই সংখ্যালঘু নির্যাতনের ধারাাহিকতায় ২০২২ সালেও আমরা এর চরম নির্মম রুপ দেখতে পাচ্ছি। ২০০১ সালের পরিসংখ্যান অনুসারে এদেশে হিন্দুদের সংখ্যা ছিল ১৬.৮৩ মিলিয়ন।
২০১১ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাড়ানোর কথা ছিল ১৮.২ মিলিয়ন। কিন্তু ২০১১ সালেই পরিসংখ্যানে দেখা যায় এই সংখ্যা ১২.৩ মিলিয়নে এসে দাড়ায়। ২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৭.৯৫ শতাংশ হলো হিন্দু।দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় মাল্টিমিডিয়া নিউজ এজেন্সি এএনআই-এর সঙ্গে সাক্ষাতকারে আমাদের মাননীয়া বলছেন সংখ্যালঘুদের উপর হামলায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। দিনদুপুরে এমন মিথ্যাচার কেউ করতে পারে যেখানে আমরা হাতের মোবাইল ফোনে সব দেখতে পাচ্ছি হিন্দুদের সাথে কি হচ্ছে। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হলে হিন্দুদের সংখ্যা এত কমছে কি করে?মাননীয়া যখন অমোঘ কাব্য আউরে যাচ্ছেন তখন তাঁর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রেস মিটিংয়ে বলছেন দেশে মন্দিরের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে, এটা কমাতে হবে নয়তো সাম্প্রদায়িক হামলা বাড়তে পারে বলে উনার ধারণা। কিন্তু মশাই নেত্রী যে বলছেন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়! হ্যাঁ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয় যখন কোন মোল্লা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যকে অপমান করেন এবং রাতের আঁধারে তা গুড়িয়ে দেন তখন। এর পরপরই আমরা দেখছি হাইকোর্টে নারী বিরোধী রায় (নারী কাজী)দিয়ে মোল্লাদের খুশি রাখতে। জনগণ এসব প্রশ্ন করতে পারবে না, ডিজিটাল আইনের খড়গ মাথায় নিয়ে দিন কাটছে আমাদের। ডিজিটাল আইনে জেলে পুরে দিবে নয়তো গুম করে দিবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ-এর সাধারণ সম্পাদক ড.চন্দ্রনাথ পোদ্দার বলছেনে এবছর দেশে ৬৬টি সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে। এরমধ্যে প্রতিমা ভাঙচুর, বাড়িতে হামলা লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরও বলেন মানসিক ভারসাম্যহীনদের যেন এবার আগে থেকেই সাবধানে রাখেন। আমারও একই মন্তব্য মানসিক ভারসাম্যহীন জাতিকে দয়া করে সাবধানে রাখুন। এই ভোটব্যাংক রাজনীতি খেলে আখেরে নিজের ভয়াল দিন ঢেকে আনবেন না।