
ভুলনিবাসীর সাত মিথ্যে-মিথ।
প্রথম মিথ্যে। অস্ট্রোএশিয়াটিক উপাদানই ভারতের মূলনিবাসী।
আর্কিওজেনেটিক্স বলছে যে বৈদিক আর্যের পরিযানের সমকালে বা এমনকি বৈদিক আর্যের আগমনেরও পরে অস্ট্রোএশিয়াটিক পরিযান ঘটেছে।
বস্তুত উপমহাদেশের হরপ্পা সভ্যতায় সবার আগে দ্রাবিড় এবং তারপর আউটার এরিয়ান বা ব্রাত্য আর্য এসেছেন। বৈদিক আর্য এবং অস্ট্রোএশিয়াটিক এসেছেন সবার পরে, হরপ্পা সভ্যতার পতনের সমকালে অথবা তারও পরে।
টোনি জোসেফের আর্লি ইন্ডিয়ান্স দ্রষ্টব্য।
তাহলে, এই সত্য ধামাচাপা কেন পড়ছে? দুটো কারণে। বাম এ সত্য সামনে আনলে তাদের দীর্ঘদিনের প্রান্তবিলাসী শ্রেণীসংগ্রাম ধাক্কা খাবে, অতীতের মহাশ্বেতা দেবী থেকে আজকের হুদূরবিকাশরা যে বিপুল প্রকল্প নিয়েছিলেন বাঙালিকে তার তন্ত্রাশ্রয়ী মাতৃধর্মের শেকড় থেকে বিচ্ছিন্ন করে সিংবোঙ্গা ইত্যাদি জপতে, সেটা আহত হবে। বামজেহাদি ও ভুলনিবাসীর যৌথ শিবির কাজেই এ সত্য সইতে পারবেন না, পুরো ন্যারেটিভ ধ্বসে যাবে।
অন্যদিকে দক্ষিণপন্থী গেরুয়া শিবিরের প্রধান প্রতিপাদ্য হল আদৌ কোনও পরিযান হয়নি কারণ তাদের প্রাণভোমরা হল বৈদিক। ফলে বৈদিক আর্য বাইরে থেকে এসেছে, সর্বশেষ আর্কিওজেনেটিক গবেষণার এই তথ্য তারা সাধ্যমত ধামাচাপা দিতে ব্যস্ত। অতএব অস্ট্রোএশিয়াটিক যে বাইরে থেকে এসেছেন এবং মোটামুটি ৪০০০ বছর আগে তাদের আগমন, সেটা ধামাচাপা দিতে গেরুয়াদেরও উদ্যোগ থাকে কারণ নিজেদের স্বার্থ আছে পরিযান সংক্রান্ত তথ্য বিকৃতি করতে। সর্বোপরি আঁটি সেল পড়াশোনা তেমন একটা করে না।
দ্বিতীয় মিথ্যে। মা দুর্গা কর্তৃক মহিষাসুর বধ হল আর্য কর্তৃক অনার্যদের ওপর আক্রমণের প্রতীক।
এজন্য দুর্গাপুজোর বদলে এরা মহিষাসুর পুজো করবেন এবং মা দুর্গার নামে অকথ্যকথন করবেন, যেটা ভারতীয় পেনাল কোডে অপরাধ, এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দির অধ্যাপক কেদার মণ্ডল এই করতে গিয়ে হাজতবাস করেছে।
আগে বহুবার লিখেছি যে দ্রাবিড় ও ব্রাত্য আর্য মিশ্রিত হরপ্পা সভ্যতা ছিল মাতৃকা উপাসক এবং সেখানে মহিষমেধ হত। মহিষের রক্ত যাঁর প্রিয়, এভাবে মহাভারতে অর্জুনের দুর্গাস্তব পাই। মহিষমর্দিনী মাতৃকার মূর্তি খ্রিষ্টপূর্ব প্রথম শতক থেকেই পাওয়া যায়। মহিষ থেকে anthropomorphism-এর মাধ্যমে মহিষাসুর এসেছে খ্রিষ্টীয় পঞ্চম-ষষ্ঠ শতক নাগাদ, শ্রী শ্রী চণ্ডীতে। মহিষ থেকে মহিষাসুর, মহিষমর্দিনী থেকে মহিষাসুরমর্দিনী।
মহিষাসুর আদ্যোপান্ত কাল্পনিক চরিত্র। মহিষের দানবরূপ মাত্র। এর একটি অকাট্য পাথুরে প্রমাণ হল মামাল্লাপুরমের মহিষাসুর মূর্তি, সময়কাল সপ্তম-অষ্টম শতক। এখানে মাথাটা মোষের, দেহটা বৃহদাকৃতি মানুষ বা দানবের। বলির মোষটার রূপান্তর ঘটেছে, তা স্পষ্ট।
মা দুর্গার সঙ্গে বৈদিক আর্যের কোনও সংযোগ নেই, দুর্গা বৈদিক দেবী নন। মা দুর্গার উপাসনা ভারতের তন্ত্রাশ্রয়ী মাতৃকা উপাসক আদি সভ্যতার গর্বিত উত্তরাধিকার। আজকে হিন্দুধর্মের সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো, তাকে কালিমালিপ্ত করতেই এরা এইসব আগ্রাসনের মিথ্যে অভিযোগ করেছেন।
তৃতীয় মিথ্যে। বেদ পুরাণের অসুররা হলেন আজকের বঞ্চিত লাঞ্ছিত নিপীড়িত শোষিত প্রান্তিক আদিবাসী (ST) বা মূলনিবাসী (SC) জনগোষ্ঠী। এরকমই একজন প্রান্তিক অস্ট্রোএশিয়াটিক জনগোষ্ঠীর নেতা ছিলেন মহিষাসুর।
মহিষাসুর কাল্পনিক চরিত্র, বলিপ্রদত্ত মহিষের দানবরূপ, আগেই বলেছি। কিন্তু অসুর শব্দটির অর্থ মোটেই এরকম নয়। অসুর শব্দ অবাঙালির মতোই একটা umbrella term। অবাঙালি বললে কোনও বিশেষ জনগোষ্ঠী বোঝায় না। বাঙালি না হলেই অবাঙালি। শরৎচন্দ্র যখন বাঙালির সঙ্গে মুসলমানের ফুটবল ম্যাচের কথা লেখেন, তখন তিনি মুসলমানকে অবাঙালি বলছেন।
সুর না হলেই অসুর।
অসুর শব্দটা এইভাবে অত্যন্ত ব্যাপক অর্থ বহন করে। ঋগ্বেদে দেখি অবৈদিক আর্যদেরই মূলত অসুর বলা হয়েছে। ইন্দ্রের অনুসারী বনাম বরুণের অনুসারীদের দীর্ঘ যুদ্ধ হয়েছিল, বরুণের অনুসারীরা মূলত ইউরোপের দিকটায় চলে যান। প্রাচীন স্লাভ দেবতা পেরুন আসলে বরুণ। সুরাসুর দ্বন্দ্ব কাজেই প্রধানত জ্ঞাতি শত্রুতা ছিল। ঋগ্বেদে এমনকি কয়েক জায়গায় ইন্দ্রকেও অসুর বলা হয়েছে। অসুর কাজেই তখন সম্মানজনক শব্দ।
এমনটা আজও হয় যখন প্রতিপক্ষ শক্তিশালী, প্রতিপক্ষের দেওয়া নামটিও ফলে শক্তিশালী, ফলে সিপিএমের কয়েকজন নিজেদের গর্বিত হার্মাদ বলতে শুরু করে দিল, অথবা বিজেপির লোকে নিজেদেরই গর্বিত চাড্ডি আখ্যা দিল। কাজেই অসুর শব্দটি স্থানে স্থানে দেখা যাচ্ছে গালাগালি থেকে একটা গর্বের ও শক্তির পরিচয় হয়ে গেছে। বৈদিক আর্যের আরেকটি জ্ঞাতি প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল ইরানের আর্যরা। জরাথুস্ত্র তাঁর ধর্মে আহুর মজদার উপাসনা করেন, সেটা মূলত মহান অসুরের উপাসনা। আমাদের বাঙালিদের পূর্বসূরী ব্রাত্য আর্যদের পর্যন্ত অসুরভাষী বলা হয়েছে। কাজেই অসুর শব্দটির এমন একরৈখিক একমাত্রিক অর্থ মোটেই হয় না, যেটা আজকে হুদূর দলের বাদুড়রা তাদের মুখ দিয়ে অনবরত মলত্যাগ করে চলেছেন।
অস্ট্রোএশিয়াটিক উপজাতিগুলির পরিযান যেহেতু অনেক পরে, কাজেই তাদের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট উপজাতির উদ্দেশ্যে কবে এই অসুর শব্দটি প্রযুক্ত হল, এবং ছোটনাগপুর মালভূমির বাসিন্দা একটি উপজাতি অসুর নামে ভূষিত হল, সেটার সঠিক তথ্য সামনে আসা দরকার। তবে বর্তমানে যা পরিস্থিতি হয়ে আছে, তাতে কায়েমী স্বার্থের ধূম্রজাল ভেদ করে এই নির্দিষ্ট অসুর উপজাতির আদি ইতিহাস সম্পর্কে সঠিক তথ্য যে আদৌ কবে বেরিয়ে আসবে তাতে সন্দেহ আছে।
চতুর্থ মিথ্যে। হুদূর দুর্গা নামে একজন রাজার কথা প্ৰচলিত আছে কিছু অস্ট্রোএশিয়াটিক উপজাতির মধ্যে, তিনিই মহিষাসুর। এটা আদ্যোপান্ত মিথ্যে, এই মিথ্যে জে এন ইউ থেকে ছড়ানো হয়েছে গত দুই দশকে। হুদূর দুর্গার গল্পের প্রাচীনত্ব কতটা জানা সম্ভব না, ওরাল কালচার ফলে লিপিবদ্ধ নথি পাওয়া যায় না, তবে ইংরেজ আমলের কোনও গেজেটে উল্লেখ আমার চোখে পড়েনি, সেই সময়ে এই কাহিনী জনপ্রিয় হলে গেজেটে উল্লেখ করা হত নিশ্চয়ই। কিন্তু উপমহাদেশে মহিষমর্দিনী থেকে মহিষাসুরমর্দিনীর উপাসনার ইতিহাসে এই হুদূর দুর্গার কাহিনীর কোনও সংযোগ নেই, মিথ্যাচার করে উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানো হচ্ছে।
পঞ্চম মিথ্যে। হিন্দুধর্ম মানেই ব্রাহ্মণ্যবাদ, বর্ণবাদের প্রতিষ্ঠান। দলিত ও প্রান্তিকদের ওপরে অত্যাচার।
বস্তুত আজকে বাংলায় যা হিন্দুধর্ম বলে পরিচিত, সেটা বৈদিক ধর্মের থেকে চূড়ান্তভাবে আলাদা। হিন্দুধর্ম মূলত তন্ত্রাশ্রয়ী। তন্ত্রে বর্ণভেদ ও লিঙ্গবৈষম্য নেই। তন্ত্রে বর্ণাশ্রম গ্রাহ্য নয়, তন্ত্রে কুলশীলভিত্তিক সমাজ। বাঙালির তথাকথিত ছত্রিশ জাত আসলে কুলশীলভিত্তিক সমাজ। বর্ণাশ্রমের বাইরে। অনেক পরে সবকটি কাস্টকে গায়ের জোরে সংকর বর্ণ আখ্যা দিয়ে, বাংলায় ব্রাহ্মণ ছাড়া সবাইকে শূদ্র আখ্যা দিয়ে বৈদিক বর্ণাশ্রমপ্রথার ভেতরে নিয়ে আসা হয় এই ছত্রিশ জাতকে। এটি মধ্যযুগের জালসাজি, যারা করেছিলেন তারা ছিলেন মুসলমান শাসকের ঘনিষ্ঠ একদল ব্রাহ্মণ।
তন্ত্রে বর্ণভেদ নেই, এ কথাটা হ্যামারিং করে যেতে হবে। কুলশীল নিয়ে আগে অনেকবার লিখেছি, এই পেজে সার্চ করলেই পাওয়া যাবে।
বাংলায় গৌড়ীয় বৈষ্ণব আন্দোলন হয়েছে এই বর্ণবাদবিহীন আদর্শে, গৌড়ীয় বৈষ্ণব আজও বর্ণবাদ মানেন না। রামপ্রসাদের গানে বর্ণভেদ অস্বীকার করা হয়েছে, আজও বর্ণ নির্বিশেষে তন্ত্রে অভিষিক্ত হওয়ার অধিকার শাক্তধর্মের মূল বার্তাগুলির একটি।
একদল অন্তর্ঘাতক ঘরশত্রু হিন্দুধর্মকে কালিমালিপ্ত করবে বলে এইসব অসভ্যতা করছে। এদের কাছে বাঙালির সুমহান তন্ত্রাশ্রয়ী সভ্যতার সাম্যের বাণী আর গোবলয়ের খাপ পঞ্চায়েতের কোনও ফারাক নেই। এই বিশেষ রকমের বহুজন আদর্শের জন্মস্থান গোবলয়, এরা গোবলয় ব্রাহ্মণ্যবাদের মিরর ইমেজ, এরা বাংলায় জাতিদাঙ্গার পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। কখনও আদ্যা নিত্যা অব্যক্ত জগদকারণ জগন্মাতা সম্পর্কে অসভ্যতা করছে, কখনও শ্রীরাধা সম্পর্কে ইতর উক্তি করছে। এদের পেছনে উস্কানিমূলক মদত দিচ্ছেন বাদুড়বিকাশের মত কায়েমী স্বার্থের দালাল।
ষষ্ঠ মিথ্যে। ভুলনিবাসীর কাছে প্রাচীন ভারতের বৌদ্ধধর্ম এক আদর্শ ইউটোপিয়া।
বৌদ্ধধর্ম আদ্যোপান্ত ব্রাত্য তন্ত্রাশ্রয়ী সাংখ্য দর্শনের কাছে ঋণী, ধর্মটা উঠে এসেছিল পূর্ব ভারতের ব্রাত্যধর্মীয় সভ্যতা থেকে। কিন্তু পুরুষতন্ত্র সেই আদি থেরবাদী বৌদ্ধধর্মে যথেষ্ট ছিল, এ বিষয়ে দেবদত্ত পটনায়কের প্রবন্ধ আছে, স্ক্রোল সাইটে প্রকাশিত।
এই থেরবাদী পুরুষতান্ত্রিক বৌদ্ধ ধর্মের সংস্কার করে তাকে আরও মূলানুগ করে তোলে বজ্র এবং পরবর্তীতে জটিলতা কাটিয়ে ওঠার সহজ আন্দোলন। আজকের শাক্ত ও বৈষ্ণব এসেছে বৌদ্ধ তন্ত্রের বজ্র ও সহজ থেকে। যারা হরপ্রসাদ পড়েছেন সবাই জানেন, বাংলার হিন্দুধর্মের মধ্যেই বৌদ্ধ ধর্মের উত্তরাধিকার। বৌদ্ধ ধর্ম কোথাও যায়নি, এখানেই আছে। বল্লালসেনকে প্রচ্ছন্ন বৌদ্ধ বলে গাল দেওয়া হয়েছিল এজন্যই। বল্লাল পদ্মিনীর বিবাহ বর্ণবাদকে অস্বীকার করে বাংলায় সহজ শাক্ত আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে গেছিল।
আজকের নিও বুদ্ধিস্ট কাজেই প্রকৃত তন্ত্রাশ্রয়ী বৌদ্ধধর্মের উত্তরাধিকার বহন করতে অক্ষম। আমাদের বৌদ্ধ তান্ত্রিক পালযুগের বাঙালির সঙ্গে আজকের ভুলনিবাসীর কোনও যোগ নেই শুধু বললে ভুল হবে, আজকের ভুলনিবাসী বাঙালির বৌদ্ধ অতীতের সর্বাত্মক শত্রু।
সপ্তম মিথ্যে। ভুলনিবাসী একটি শ্রেণীহীন সমাজের সাম্যময় আন্দোলন।
সাম্যময় ছিল বিখ্যাত কৌতুক অভিনেতা ভানু ব্যানার্জির আসল নাম। ভুলনিবাসীর সাম্যময় চেতনা আসলে একটি প্রহসন, কৌতুকনাট্য। বাস্তবে বিকট রকমের বৈষম্যে বিশ্বাসী। উগ্র বিকট পুরুষতান্ত্রিক হন এরা। প্রকৃতিমাতৃকাশক্তি সম্পর্কে ভুলনিবাসী নেতাদের বিকট রকমের বিষোদগার দেখলেই বোঝা যায়, এরা পুরুষতান্ত্রিক বিষের চলমান পুঁটুলি।
একইভাবে এরা বীভৎস রকমের বর্ণবিদ্বেষী। সেদিনের যোগেন মণ্ডল থেকে আজকের মোদি অনুগত ভুলনিবাসী – এরা চিরকাল বিজাতীয় শক্তিকেন্দ্রর দালালি করেন, বাঙালি ব্রাহ্মণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়তে পড়তে কখন যে পাকিস্তানী মুসলমান আর কখন যে নাগপুরের চিৎপাবন ব্রাহ্মণের দালালি করে নেবেন চুপচাপ, ধরাই যাবে না। যখন কানে জল ঢুকবে তখন ভয়ানক দেরি হয়ে গেছে। এরা স্বজাতিদ্রোহী, বিজাতীয় দালাল। গোবলয়ের দালাল কিছু বাঙালি ব্রাহ্মণ্যবাদী সাবর্ণ আছে, এই ভুলনিবাসীরা তাদেরই মিরর ইমেজ, অবিকল প্রতিচ্ছায়া। ভয়ানক স্বজাতিবিদ্বেষ এবং বিজাতীয় শক্তির পদলেহন এদের বৈশিষ্ট্য।
ভুলনিবাসী একেবারেই সাম্যে বিশ্বাসী নন। ভয়ানক মিথ্যাবাদী হন এরা, তথ্যবিকৃতি না করে একটা সাধারণ বাক্য উচ্চারণ করতে পারেন না। বাঙালি চিরকাল তন্ত্রাশ্রয়ী ছিল, বর্ণভেদ মানে নি, লিঙ্গবৈষম্য পরিহার করেছে। এই ভুলনিবাসী গোবলয়ের গোবরের হাঁড়ি আমদানি করেছে বাংলায়, বাঙালি জেনারেল কাস্টের বিরুদ্ধে নিয়মিত বিষোদ্গার করে বাংলায় বিকট অশান্তির প্ররোচনা দিচ্ছে। প্রকৃতিমাতৃকাশক্তি সম্পর্কে এঁদের অসভ্যতা দেখলে বোঝা যায়, এই পুরুষতান্ত্রিক দানবদের স্থান বাংলায় নেই, এদের অনুপ্রেরণার উৎপত্তি গোবলয়ে অথবা মরু বলয়ে। বিজাতীয় শক্তির এই দালালদের প্রোমোট করে যে বামপন্থী ভাবছেন তিনি শ্রেণীহীন সমাজ গড়ে তুলছেন, সে বাম টাটা আর সালেম দিয়ে একদা জনগণতান্ত্রিক বিপ্লব করতে গেছিল, এখনও তারা ইসলামিক মৌলবাদকে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের একটা ধাপ ভাবে।
মা আসছেন, আর বেশি দেরি নেই।
© তমাল দাশগুপ্ত
প্রাচীন মহিষমর্দিনী মূর্তি, ছবিটি মাৎস্যন্যায় হোয়্যাটস্যাপ গ্রূপের সৌজন্যে প্রাপ্ত। এই মূর্তি সম্পর্কে নির্দিষ্টভাবে জানা না গেলেও চতুর্থ শতকের অনুরূপ মহিষমর্দিনী মূর্তি উত্তরবঙ্গ থেকে পাওয়া গেছে।
সংযোজন
মহিষমেধ ও সুপ্রাচীন মাতৃকাধর্মের সাত সূত্র।
বাদুড়বিকাশদের মহিষাসুর পুজোর কফিনে আমার তরফ থেকে ইতিহাসের নথির এই ক্ষুদ্র পেরেক পুঁতলাম, মহিষাসুর পুজোর চিতায় আমার তরফ থেকে ইতিহাসের নথির এই ক্ষুদ্র নুড়ো জ্বেলে দিলাম। ওম শান্তি।
তমাল দাশগুপ্ত ফেসবুক পেজ, উনতিরিশ সেপ্টেম্বর দুহাজার একুশ।