কয়েক বছর আগে আমি চৈতন্য হত্যা নিয়ে লেখার পর থেকে বিষয়টা নিয়ে একাধিক রচনা পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি সম্পর্কে হতাশ হলেও একথা মুক্তকণ্ঠে বলব, কলকাতা থেকে গত সাত আট বছরে চৈতন্য হত্যা বিষয়ক অন্তত দশটি উচ্চমানের গবেষণা গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে, তা থেকে বোঝা যায়, বাঙালিরা বিষয়টি নিয়ে ক্রমেই আগ্রহী হচ্ছে। সিপিএম জমানা শেষ হল, বাঙালি তার কমিউনিস্ট নিশ্চয়তা হারালো, এবং চৈতন্যকে পুনরাবিষ্কার করল, ব্যাপারটা এত সোজা আমি বলছি না। গত দেড়শো বছর ধরেই বাঙালি চৈতন্যকে আবিষ্কার করছে। বঙ্কিম প্রথম বলেছিলেন, যে চৈতন্যের সময় বাঙালির প্রথম রেনেসাঁস। শিশির ঘোষের অমিয় নিমাই চরিত একটি ম্যাগনাম ওপাস, তার পর থেকে বাঙালি ক্রমশঃ নিজের বৈষ্ণব শেকড় নিয়ে অনুসন্ধানে ব্রতী হয়েছে। দুর্ভাগ্য যে মেনস্ট্রিম বিশ্বমানবিক অ্যাকাডেমিয়ায় এ বিষয় নিয়ে এখনও সেমিনার ওয়ার্কশপ সেভাবে হতে দেওয়া হয় না, কিন্তু অবস্থাটা অবশ্যই পাল্টাবে। আমরা সপ্তডিঙার পক্ষ থেকে সেই উদ্দেশ্যে তো কাজ করছি। বিজেপির আপদগুলো ঘাড়ের ওপরে এসে নিয়মিত দেশজুড়ে গোবর এবং গণেশ নিয়ে ঘটা করে ঐতিহাসিক ও বৈজ্ঞানিক সম্মেলন না করলে আমাদের কাজটা আরও সোজা হত, কিন্তু কি করা যাবে।
চৈতন্যহত্যার অনুসন্ধানে সংক্রান্ত আমার লেখাটা ইন্টারনেটে আছে। কিন্তু চৈতন্যহত্যা পোস্টস্ক্রিপ্ট বলে একটা লেখা তৈরি করেছিলাম, আমার ফেসবুক দুটি প্রোফাইল গতবছর ডিজেবল হওয়ার পর সেটা আর কোথাও সহজলভ্য নয়। সেটা এই পেজে দেব এবার।
চৈতন্য আন্দোলনের বাঙালি জাতীয়তাবাদী পাঠ রচনা করার অনেকদিনের পরিকল্পনা। সে কাজ এবার শুরু করছি। তার গৌরচন্দ্রিকা হিসেবে নিজেরই পুরোনো লেখা একটু ফিরে দেখছি।
চৈতন্য হত্যার অনুসন্ধানে আরেকবার রইল। একটু পরে চৈতন্য হত্যা পোস্টস্ক্রিপ্ট দিচ্ছি।
http://bongodorshon.blogspot.com/2017/08/blog-post.html
http://fb.me/tdasgupto থেকে, ১৬ই এপ্রিল ২০২০